শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সাতক্ষীরা কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা। চবিতে চলছে হল সিলগালা। নড়াইলে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু  নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৭   সিংড়ায় মাসব্যাপী চলনবিল বৃক্ষরোপণ উৎসবে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ পুরাতন সাতক্ষীরায় জমিজমা বিরোধে ৪জনকে পিটিয়ে আহত কোটা সংস্কারের দাবিতে বঙ্গভবনের স্মারকলিপি দিলেন শিক্ষার্থীরা যারা না জেনে সমালোচনা করেন, তারা মানসিক রোগী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু গৃহকর্মীকে  নির্যাতনের ঘটনায় দম্পতি গ্রেফতার। সাভারে চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক দুই

ভাই হত্যার বদলা নিতে মুঠোফোনে প্রেমের পর হত্যা,

স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০২২

পাবনা ভাই হত্যার বদলা নিতে তিন মাস মেয়ে সেজে মুঠোফোনে প্রেমের অভিনয় করেন আজাদুর রহমান ওরফে নবীন (২৪)। এরপর ডেকে এনে ইমরানকে হত্যা করেন তিনি।
পাবনার বেড়া উপজেলার আলোচিত শিশু অপহরণ ও হত্যা মামলার আসামি ইমরান হোসেন (২১) হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আজাদুর ও তার বন্ধু আলাউদ্দিন জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দি দেন।

জানা যায়, শিশু আরাফাত (৮) হত্যার বদলা নিতে ভাই আজাদুর রহমান ওরফে নবীন (২৪) তিন মাস মেয়ে সেজে মুঠোফোনে ইমরানের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করেন। পরে গেল ২৬ মার্চ রাতে মেয়ে কণ্ঠে ইমরানকে বাড়ির বাইরে ডেকে এনে বন্ধু মো. আলাউদ্দিনের (২০) সহায়তায় ইমরানকে হত্যা করেন। ইমরান সাঁথিয়ার করমজা গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, বেড়া উপজেলার আলোচিত শিশু অপহরণ ও হত্যা মামলার আসামি ইমরান হোসেন (২১)। ২৭ মার্চ সকালে বেড়া পৌর এলাকার আলহেরানগর মহল্লার একটি খেত থেকে ইমরানের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ইমরান ২০১৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বেড়া পৌর এলাকার সান্যালপাড়া মহল্লার আরাফাত নামের এক শিশু অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিশোর অপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর যশোর কিশোর সংশোধনাগারে কারাভোগের পর কয়েক মাস আগে মুক্তি পান।

এরপর ইমরান হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরাফাতের ভাই আজাদুর ও তার বন্ধু আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে আজাদুর ও আলাউদ্দিন বলেন, ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে ইমরানসহ তিনজন মিলে শিশু আরাফাতকে অপহরণের পর হত্যা করেন। এ ঘটনায় কারাভোগ শেষে বের হওয়ার পর তিনি আরাফাতের ভাই আজাদুরকে ‘কী করতে পারলি,বলে মন্তব্য করেন। এরপরই তার মধ্যে বাই হত্যার বদলা নেয়ার ইচ্ছে জাগ্রত হয়। তারপর গেল ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে মেয়ে কণ্ঠে ইমরানকে বেড়া পৌর এলাকার আলহেরানগর মহল্লার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আসতে বলেন আজাদুর। সেখানে পৌঁছানোর পর আজাদুর ও আলাউদ্দিন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ইমরানকে হত্যা করেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..