সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ০৩:২০ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সাতক্ষীরা কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের নেতা-কর্মীদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা। চবিতে চলছে হল সিলগালা। নড়াইলে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু  নড়াইলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৭   সিংড়ায় মাসব্যাপী চলনবিল বৃক্ষরোপণ উৎসবে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ পুরাতন সাতক্ষীরায় জমিজমা বিরোধে ৪জনকে পিটিয়ে আহত কোটা সংস্কারের দাবিতে বঙ্গভবনের স্মারকলিপি দিলেন শিক্ষার্থীরা যারা না জেনে সমালোচনা করেন, তারা মানসিক রোগী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু গৃহকর্মীকে  নির্যাতনের ঘটনায় দম্পতি গ্রেফতার। সাভারে চুরির অপবাদ দিয়ে শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক দুই

কলেজছাত্র হত্যায় যুবকের যাবজ্জীবন, ও অস্ত্র মামলায় অপর আসামির ১০ বছরের সাজা।

এ জে এম ইসমাইল হোসেন লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২২

লক্ষ্মীপুরে কলেজ ছাত্র শাওন হত্যা মামলায় মো. শাকিল পাটওয়ারী নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। এই মামলায় অন্য ৮ আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
অপর একটি অস্ত্র মামলায় শাহ আলম নামে অন্য এক আসামীর ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন একই আদালত। এ আসামিকেও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে পৃথক দুই মামলার রায় দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম। রায়ের সময় দন্ডিত আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শাকিল লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাসিন্দা মৃত আবু তাহের হারুনের ছেলে। অপর দন্ডিত শাহ আলম সদর উপজেলার বশিকপুর গ্রামের সাহাব উদ্দিন মাষ্টারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০১৬ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুরের আভিরখীল গ্রামে প্রকাশ্যে কলেজ ছাত্র শাওনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় একই দিন নিহতের খালাত ভাই সালাহউদ্দীন লোটাস বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় ১০জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩১ জানুয়ারি ৯জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
অপর আসামী শাহ আলম ২০২০ সালের ২০ জুন অস্ত্র ও গুলিসহ বশিকপুর এলাকা থেকে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা করে। মামলার তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেয়া হয়।
দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষীদের সাক্ষাগ্রহণ শেষে আদালত এই দুই মামলায় রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় হত্যা মামলা থেকে ৮ আসামীকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..