বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
লোহাগড়ায় ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে ও আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত  মাদারগঞ্জে নাশকতা মামলায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারিসহ আটক ৫  ইসকন ইস্যুতে দেশি-বিদেশি ইন্ধন থাকতে পারে। লোহাগড়ায় কৃষকদের মাঝে বিনামুল্যে বোরো ধানের বীজ বিতরণ নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে নুর জামাল নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে দৌলতখানে স্মরণ সভা সা’দত কলেজে শিক্ষক পরিষদের নতুন কমিটি গঠনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় যুবককে কুপিয়ে আহত করেছে  দূবৃত্তরা  ধ’র্ষণ মামলার আসামি নরসিংদীতে আটক মাদারগঞ্জে বাজার মনিটরিং অভিযানে ব্যবসায়ীকে জরিমানা ভ্রাম্যমাণ আদালতের

লক্ষ্মীপুরে বিয়ে করে স্ত্রীকে কলকাতায় বিক্রী।

এ জে এম ইসমাইল হোসেন লক্ষীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে মো. সোহাগ (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে ভারতের নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে তাকে পুলিশ আটক করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান স্বামীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বীকারোক্তি ও অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।

সোহাগ সদর উপজেলা ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউভূতি গ্রামের সফিক উল্যার ছেলে। তিনি কমলনগর থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, প্রায় ৫ মাস আগে সোহাগের সঙ্গে কমলনগরের চরকালকিনি ইউনিয়নের মতিরহাট এলাকার তাজুল ইসলামের মেয়ে রিনা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এতে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা থাকলেও ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকার জন্য সোহাগ তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে। এর মধ্যেই বিয়ের দুই মাস অতিবাহিত হয়। পরে বেড়ানোর কথা বলে সোহাগ রিনাকে ঢাকা নিয়ে যায়। সেখানে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ড্রামে করে চোরাই পথে রিনাকে ভারতের কলকাতার কাছাকাছি স্থানে সোহাগ তার বোনের কাছে নিয়ে যায়। পরে সোহাগ দেশে চলে এলেও রিনাকে রেখে আসে।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে রিনার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন সোহাগকে চাপ প্রয়োগ করে। সোহাগ জানায়, রিনা তার বোনের কাছে ঢাকায় আছে। কিন্তু যোগাযোগের জন্য ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর চাওয়া হলেও সোহাগ তা দিচ্ছিল না। ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় গত ১০ অক্টোবর রিনার ভাই মো. জাহাঙ্গীর কমলনগরের হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোহের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয়। পরে পুলিশ সোহাগকে চাপ দেয় রিনাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য। নিরুপায় হয়ে এক সপ্তাহ আগে রিনাকে অচেতন করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। স্বাভাবিক হয়ে রিনা বুঝতে পারে তিনি স্বামীর বাড়িতে আছেন। স্বামীর বাড়ি থেকে গোপনে তিনি বাবার বাড়িতে চলে আসে। পরে পরিবারের লোকজনকে রিনা সবকিছু বলে। রিনাকে কলকাতার পতিতালয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, যৌতুকের বাকি টাকা দেবে বললে লোভে পড়ে সোহাগ বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে শ্বশুর বাড়িতে আসে। সেখানে তাকে আটকে রেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

ভুক্তভোগী রিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ভারতে সহিদা নামে একজনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সহিদা নাকি সোহাগের বোন হয়। সেখানে ৩ মাস আমাকে অনেক অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের কথা না শুনলেই আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। আমি সোহাগ ও তার বোন সাহিদার বিচার চাই।

এ ব্যাপারে কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, অভিযোগে ভিত্তিতে সোহাগকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা এখনও উদঘাটন সম্ভব হয়নি।

সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিনসহ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..