গোধূলী সন্ধ্যায় চারিদিক নীরব নিস্তব্ধ ময়
পাখিরা নীড়ে ফিরার সংকল্পে আছে যুদ্ধ রত
ঘর গুছিয়ে নিতে ব্যস্ত কিশোরী বধূরা বসে
প্রিয়তম মোর ফিরবে নীড়ে সন্ধ্যার আগমনে।
রক্তিম লাল আভায় তোমার দর্শন হলো পথে
আমি পথ হারিয়ে এখন তোমার পানে ছুটে যাই
তোমার হরীণ কালো আঁখির মাঝে কেন বার বার
নিজেকে হারাই আবার আজ ফিরেও যে পেতে চাই ।
কেন তুমি আমার মনকে ভুলিয়ে দিলে সুন্দর জগত?
হৃদয় মাঝে দোলা দিয়ে তুমি কোথায় হারালে বলো
দিনের আলো ধরনী হতে ধীরে ধীরে বিদায় নিলো
ঘন কালো অন্ধকারে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো ধরত্রির বুকে ।
তোমার পানে আমি অপলক নয়নে তাকিয়ে আছি সখী
কখন যে তুমি আমার ধ্যানে জ্ঞানে মনে আসন করেছো
সখি তোমার প্রমে ডুবে আজ ভাষাহীন বোবা হয়ে আছি
বাসা বেঁধেছো তুমি আমার মনের ঘরে বলতে কুন্ঠিত মুখে।
তোমার অপরুপ সে বদন পানে আমি যে এখনও চেয়ে আছি
আমাকে নিবে তোমার পথের সঙ্গী করে জীবনের অবেলায়
আমি শুধু তোমার সাথে সারা বেলা পথ চলতে চাই ভুবনে
আজ বড় ক্লান্ত শ্রান্ত দেহ মোন মোর চলার পথে একা আশি।
অনেকটা পথ একা একা জগতের মাঝে চললাম অবিরত
অবসাদ ধরেছে হিয়ার মাঝে এখন আর যে আমি পারিনা
আমি নতুন করে প্রেরনা খুঁজি তোমার মাঝে বেঁচে থাকার
তুমি কি সেটা বুঝোতে চাওনা অবুঝ বলোতো প্রিয়তমা।
জামাল উদ্দিন জীবন গীতিকার, সুরকার,উপন্যাসিক, কবি ও গল্পকার।