সাঁঝের আলোয় পূর্ণিমা রাতে ঝাউ বাগানের ধারে বসে দুজনে
বলেছি মনের না বলা কথা ছিল জীবনের নানা রঙের আয়োজন
জাম্বুরা তেতুল আমড়া লেবুপাতা কচিলাউ শশার সাথে কত ভর্তা
কাড়া কাড়ি খাবার নিয়ে ঝগড়া হয় নিত্য দিবস রাতে একসাথে।
আমায় ছেড়ে যাবে না দূর দেশে প্রতিজ্ঞা করেছো তুমি মোর সনে
চন্দ্রমুখী সে জন হয়নি আমার আপন কেমনে তারে যাইগো ভুলি?
তোমার হৃদয় মাঝে আমার অবস্হান কেমনে নিয়েছো আজ তুলি
শিরা উপশিরায় রক্তস্রোত বয় আমার কথা তোমায় স্মরন করায়।
তোমার ধ্যানে জ্ঞানে মনে আরাধনায় আমার অস্তিত্বে বিরাজমান
তোমার হিয়ার মাঝে সবর্দা উদয় হয় তাও তুমি জানো মানোনা
বৃথা প্রাণপণ চেষ্টা তোমার আমাকে জোরকরে ভুলে থাকার ভুবনে
তুমি বুঝের মানুষ হয়ে অবুঝের মত কর একি আচরণ সম্নুখ পানে।
কাশ বন হিজল তলী পেরিয়ে চুপি চুপি আসতে বাহিরে মোর প্রিয়জন
পিত্রালয় ভালোবাসা না অন্য আকর্ষণে কাছে পাবার হৃদয়ে শিহরন
যা যা বর ভিন্ন গ্রহের কেউ নই পৃথিবী গ্রোহের মানব আমি আপন জন
এটাই তোমার ভিতরে আমার সত্তা হিয়ায় সর্বক্ষণ আজও করি বিচরণ।
জামাল উদ্দিন জীবন গীতিকার, সুরকার,উপন্যাসিক, কবি ও গল্পকার।