বর্ষাকালে প্রকৃতি তার আসল রূপে ধরা দেয়। এ সময় নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড় ও দিঘি পানিতে থাকে পরিপূর্ণ। চারপাশের প্রকৃতি আরও সবুজ হয়ে ওঠে। গাছে গাছে ফোটে রং-বেরঙের ফুল-ফল। ঠিক তেমনই বর্ষায় পানিতে পরিপূর্ণ খাল-বিল, হাওর-বাওড়ে ফোটে লাল, সাদা, হলুদ রঙের বাহারি শাপলা।
জাতীয় ফুল শাপলার প্রেমে পড়েনি এমন কেউই হয়তো নেই! দিগন্ত বিস্তৃত বিলে ফুটে আছে শাপলা। এ যেন প্রকৃতির এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য। বর্ষায় শাপলার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দেখতে বেশি দূরে যেতে হবে না। ঢাকার অদূরেই প্রকৃতির কোলে ফুটে আছে হাজারো পদ্মফুল।
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে আছে এক শাপলার রাজ্য। সবাই স্থানটিকে ‘শাপলার বিল’ নামে চিনলেও এর মূল নাম শিমুলিয়া কুলাদি বিল। শিমুলিয়া গ্রামটি রাজধানী ঢাকার খুব কাছেই। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজের পাশেই এর অবস্থান। ফুল ফোটার পর থেকেই পাথরে বন্দি জীবন কাটানো মানুষরা প্রশান্তির আশায় ছুটে আসেন এ বিলে।
লাল, সাদা ও বেগুনি এই তিন রঙের শাপলার দেখা মেলে এ বিলে। তবে লাল শাপলাই বেশি। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিলে শাপলার প্রকৃত সৌন্দর্যের দেখা মেলে। তবে জুলাই মাস শেষে যাওয়াই ভালো, কারণ এ সময়ে শাপলা মাত্র ফুটতে শুরু করে। সেখানে বেশ কয়েকটি ছোট নৌকা আছে, চাইলে সেগুলোতে ঘুরে বেড়াতে পারেন ঘণ্টা চুক্তিতে।
এর পাতা পানির উপর ভেসে থাকে। মূল থেকেই নতুন পাতা জন্ম নেয়। শাপলার পাতাগুলো গোল এবং সবুজ রঙের হয়। কিন্তু নিচের দিকে কালো রঙ। ভাসমান পাতাগুলোর চারদিক ধারালো হয়। শাপলা ফুল নানা রংয়ের দেখা যায়।
শিমুলিয়া গ্রামে কয়েকটি লাল শাপলা ফুলের বিল আছে। এসব বিলে তিন ধরনের লাল শাপলা ফুল দেখতে পাওয়া যায়। আর এই ফুলের সৌন্দর্য দেখতে হলে খুব সকাল সকাল আসতে হয়। সূর্য উঠার পরে ফুলের সৌন্দর্য অতটা আর পাওয়া যায় না।
কীভাবে যাবেন?
রাজধানীর কুড়িল বাসস্টপ থেকে কাঞ্চন ব্রীজ যেতে কার ভাড়া পড়বে ৬০ টাকা জন প্রতি। অথবা এসি বিআরটিসি বাসে ৯০ টাকা জন প্রতি কাঞ্চন ব্রীজে পৌঁছাতে পারবেন। সেখান থেকে শিমুলিয়ায় যেতে অটো রিক্সা ভাড়া পড়বে ২০/২৫ টাকা জনপ্রতি। বলতে হবে শিমুলিয়া কুলাদি বিল/শাপলা বিল যাবো