অনেকের শরীরেই দেখা দেয় ছোট ছোট মাংসপিণ্ড, যা হতে পারে টিউমার। যদিও প্রথম দিকে অনেকেই সেগুলোকে পাত্তা দিতে চান না। এমন টিউমার ব্যথাহীন হয়ে থাকে বলে কেউ সেভাবে আমলে নেয় না। তবে সবারই উচিত শরীরের ফোলা ব্যথাহীন টিউমার থাকলে তা পরীক্ষা করে দেখা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
এ ধরনের টিউমারকে বলা হয় বিনাইন টিউমার। যদিও এই টিউমার শরীরের অন্যান্য অংশকে প্রভাবিত করে না। তবে উপেক্ষা করা হলে এ ধরনের মাংসপিণ্ড বিপজ্জনক হতে পারে! চলুন তবে জেনে নিন এমন টিউমারের লক্ষণ ও কারণ সম্পর্কে-
টিউমার দু’ধরনের হয়। এক ধরনের টিউমার শরীরের এক জায়গাতেই শুধু বেড়ে ওঠে। এদের বলে বিনাইন টিউমার। এমন টিউমার তেমন ক্ষতিকারক নয়।
আরেক প্রকার টিউমারের ভেতর থাকা অস্বাভাবিক কোষগুলো রক্ত কিংবা লিম্ফ নামক কিছু রাসায়নিক পদার্থের মাধ্যমে শরীরের অন্য কোনো অংশে গিয়ে জমা হয়ে, সেই অংশের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটায়।
বিনাইন টিউমার হওয়ার কারণ কী?
এ ধরনের টিউমারের উৎপত্তি ঘটে শরীরের যেকোনো স্থানে আঘাত লাগা, প্রদাহ, সংক্রমণ, জীবনযাত্রা, জেনেটিক অর্থাৎ জিনগত এবং বিকিরণের সংস্পর্শের মাধ্যমে। ম্যালিগন্যান্ট টিউমারকে অন্যভাবে বলে ক্যান্সারাস টিউমার।
এই টিউমারটি শরীরের যে কোনো অংশে বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে মস্তিষ্ক, স্তন, ঘাড়, নাক, পেট ও শ্বাসযন্ত্রেই বেশিরভাগ এই টিউমারের হদিস মেলে।
বিনাইন টিউমারের লক্ষণসমূহ-
> দৃষ্টি সমস্যা
> শীতল অনুভূত হওয়া
> অস্বস্তি বা ব্যথা অনুভব করা
> ক্লান্তি ও বিষণ্নতা
> জ্বর হওয়া
> ক্ষুধা কমে যাওয়া
> রাতে ঘাম হওয়া
> ওজন কমে যাওয়া
> হঠাৎ মাথাব্যথা
কীভাবে শনাক্ত করা হয় বিনাইন টিউমার?
চিকিৎসকরা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করেন এই টিউমার শনাক্ত করেন। এই টিউমারটি ম্যালিগন্যান্ট কি-না তা কেবল পরীক্ষার পরে জানা যায়। এটি আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের লক্ষণসমূহ মাথায় রেখে পরীক্ষা করা হয়। এর জন্য, চিকিৎসক সিটি স্ক্যান; এম আর আই স্ক্যান; ম্যামোগ্রাম ও এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন।
কখন চিকিৎসকের দরকার?
যখনই শরীরের কোনো অংশে অস্বস্তি বোধ করবেন বা ফোলা মাংসপিণ্ড দেখবেন; তখন দেরি না করে আপনার পরীক্ষা করা উচিত। যাতে এটি প্রাথমিক অবস্থায় সারানো যায়। শরীরে অতিরিক্ত কোষ গঠন শুরু হলে এর লক্ষণসমূহ প্রকাশ পায়। বেশি দেরি হলে এ ধরনের টিউমার থেকে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
সূত্র: ওয়েবএমডিড