শেরপুর সদর উপজেলার বলাইরচর ইউনিয়নের রামেরচর গ্রামে কবেজ উদ্দিন(৫০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ২৭ জুলাই সকালে পাশ্ববর্তী নজরুল ইসলামের মূলা ক্ষেত থেকে কবেজ উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে ধারালো অস্ত্রের অনেক গুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত কবেজ উদ্দিন ওই গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর ছেলে। এলাকাবাসির ধারণা স্থানীয় আকন্দ বাড়ি ও সরকার বাড়ির মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। গত ১৬ জুলাই রবিবার রাতে আকন্দ বাড়ির ইউপি সদস্য মিষ্টার আলীর ছোট ভাই মনিরুজ্জামান লিটনকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে সরকার বাড়ির আমির হক, শাহিন মিয়া ও আনোয়ার গংরা। উক্ত ঘটনায় ইউপি সদস্য মিষ্টার আলী বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় ধারা-১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৫০৬(২)/১১৪/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০; মামলা দায়ের করেন। যার সদর থানা মামলা নং-৪৭ তারিখ
১৮/৭/২০২৩ ইং এবং ২১ জুলাই শুক্রবার ভোরে তারা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আকন্দ বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর সহ মালামাল ও নগদ টাকা লুটপাট করে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায় ২৬ জুলাই বুধবার রাত দশটার দিকে আকন্দ বাড়ির কবেজ উদ্দিন খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। এরপর আর সে বাড়ি ফিরে নাই। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পার্শ্ববর্তী মূলা ক্ষেতে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী।
পরে পুলিশকে খবর দিলে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কবজ উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে। এসময় তার শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল জানান, সরকার বাড়ি ও আকন্দ বাড়ির মধ্যে বিরোধের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য তদন্ত শেষে জানা। মরদেহ উদ্ধার করে শেরপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..