বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৪ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে যৌননিপীড়নে ৪ বখাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করলো সা’দত কলেজ শিক্ষক পরিষদ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তদের হামলায় হাতের কব্জি হারালেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফকির মিরাজুল ইসলাম কালবৈশাখীর তাণ্ডব: গলাচিপায় বজ্রপাতে ৫ গরুর মৃত্যু বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে বাপা ও ক্যাপস এর “পরিবেশ সংস্কার কমিশন গঠন করাসহ ৯ দফা সুপারিশ” লোহাগড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে অন্ত:সত্বা মহিলাসহ ৪ জন আহত প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে সা’দত কলেজ ছাত্রদল গলাচিপা-চিকনিকান্দি সড়কের বেহাল দশা, কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় জনদুর্ভোগ চরমে নেত্রকোণায় সেচপাম্প নিয়ে দ্বন্ধে ভাই-ভাতিজার মারধরে আ.লীগ নেতা নিহত নেত্রকোণার হাওরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে

শেরপুরে ড্রাগন চাষে রঙিন স্বপ্ন দেখছেন কৃষক আল-আমীন

মো: জুলহাস উদ্দিন হিরো,শেরপুর প্রতিনিধি।
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

শেরপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের কালাকুড়া গ্রামে, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট জয়দেবপুর- গাজীপুর থেকে উদ্ভাবিত, দেশের মাটি ও আবহাওয়ার সাথে উপযোগী, বারি-১ জাতের সাড়ে চার শত লাল ড্রাগন চারা রোপন করে রঙিন স্বপ্ন দেখছেন কৃষক আল-আমীন।

বাগানের ফল আর বিভিন্ন বয়সী চারা বিক্রি করেই তার বার্ষিক আয় থাকছে পাঁচ লাখ টাকা। ড্রাগন চাষি ও হাজী এগ্রি এন্ড নার্সারি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মোঃ আল আমিন জানান, ২০০৬ সালে বনগাঁও হাফেজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) অনার্স-মাস্টার্স পাশ করেন। ছাত্র জীবনের পাশাপাশি আল আমিন ঢাকায় নূর ট্রেড হাউস কোম্পানিতে চাকুরী করতেন। বিভিন্ন দেশ থেকে ড্রাগন সহ অন্যান্য ফল আমদানি করে সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে সেই ফল গুলোই দেশের মাটিতে উৎপাদন করতে উদ্বুদ্ধ হন তিনি ।

২০১৯ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট জয়দেবপুর গাজীপুর থেকে উদ্ভাবিত দেশের মাটি ও আবহাওয়ার সাথে উপযোগী বারি-১ জাতের সাড়ে ৪ শত লাল ড্রাগন চারা ১’টি প্রকল্পের মাধ্যমে দেওয়া হয় তাঁকে। ওই বছরের মে মাসে তার নিজস্ব পঁঞ্চাশ শতাংশ জমিতে ড্রাগন ফলের চারাগুলো রোপণ করেন।

সঠিক নিয়মে বাগানের আগাছা কর্তন আর বাগান পরিচর্যার মধ্যদিয়ে, ৯ মাস পর থেকে ওই বাগানে প্রচুর পরিমাণ ফল আসতে শুরু করে। পাশাপাশি প্রত্যেক গাছের গোড়ায় নতুন চারা গজায়।

এদিকে, তিনি ড্রাগন ফলের পাশাপাশি মাল্টা ৪০ শতাংশ, পেয়ারা ২৫ শতাংশ, সিডলেস লেবু ৫০ শতাংশ সহ মোট ১ একর পয়শট্টি শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেন বাগান। নাম রাখা হয় ”হাজী এগ্রি এন্ড নার্সারি”।

আল আমিনের এই ব্যাবসায় তিনি একাই লাভবান হননি বরং এখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে স্থানীয় আরও বেশ কিছু পরিবারের।

কদমতলী বাজার সংলগ্ন কালাকুড়া
”হাজী এগ্রি এন্ড নার্সারি” থেকে বারি ওয়ান লাল ড্রাগন ফল, বারি ওয়ান মাল্টা, বারি ফোর সিডলেস পেয়ারা, ও সিডলেস লেবু সরবরাহ হয়।

হাজী এগ্রি এন্ড নার্সারি এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার পর থেকে তাকে আর কখনোই পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
সব মিলিয়ে তার বার্ষিক আয় থাকছে প্রায় ৫ লাখ টাকা।

 

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..