ট্রাফিক সচেতনামূলক প্রচারণায় এবারের প্রতিপাদ্য ”আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি”। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দ্রুত বাড়ি না ফেরার চেয়ে দেরিতে বাড়ি ফেরা উত্তম। বাইকে দুর্ঘটনা রোধকল্পে হেলমেটের বিকল্প নেই এই অঙ্গীকার নিয়ে নীলফামারী জেলার ৬টি উপজেলায় একযোগে হেলমেট পরিধান ও সচেতনতামূলক প্রচারণা পরিচালনা করছেন নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান (পিপিএম) দিক নির্দেশনায় ডিমলা থানা পুলিশের উদ্যোগে সোমবার (২৪শে অক্টোবর) সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়েছে বাইক দুর্ঘটনা রোধকল্পে চালকদের সচেতনমূলক হেলমেট পরিধান অভিযান এবং ট্রাফিক সচেতনতামূলক প্রচারণা।
এই অভিযানের অংশ হিসেবে ডিমলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমানের নেতৃত্বে বিজয় চত্বর, শুটিবাড়ী মোড়, পোস্ট অফিস মোড়সহ বিভিন্ন স্পটে মোটরবাইকে চলাচলরতদের হেলমেট পরিধানের উপকারিতা, লিফলেট বিতরণ, গণসচেতনতা এছাড়াও ”আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি”। এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সচেতনমূলক হেলমেট পরিধানের কার্যক্রম পরিচালনা করছে ডিমলা থানা পুলিশ। হেলমেট বিহীন মোটরবাইক চালকদের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ঝুঁকি, অঙ্গহানি ইত্যাদি বিষয়ে অবহিত করেন ও সু-পরামর্শ প্রদান করেন ডিমলা থানা পুলিশ। যাদের মাথায় হেলমেট আছে তাদেরকে লাল গোলাপ ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লাইছুর রহমান জানান, বাইক চালানোর সময় মাথায় হেলমেট থাকলে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকাংশে রোধ হয়। শরীর পঙ্গুত্ব হলেও জীবন রক্ষা পায়। জীবন বাঁচানোর জন্য হেলমেট এর বিকল্প নাই। বাইক চালকদের সচেতন করতে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।
সচেনতামূলক বক্তৃত্যে তিনি আরো বলেন, আমরা যেন হেলমেট বিহীন গাড়ি না চালাই, দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকি। ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ অন্যান্য গাড়ির কাগজপত্র সঙ্গে রাখি। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ওভারটেকিং না করি। মোটরযান চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করবো না। ইজিবাইক ব্যাটারি চালিত রিক্সা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। লাইসেন্স ও ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলাবো না। মনে রাখবেন, একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না!
ট্রাফিক সচেতনামূলক প্রচারণা ও সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেন, বিশ্বদেব রায় ওসি (তদন্ত), প্রদীপ চন্দ্র রায় (এসআই), ইমরান (এসআই) সহ সঙ্গীয় ফোর্স এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবি সংগঠন ও বিভিন্ন ইলেকট্রিক মিডিয়া কর্মী বৃন্দ।