রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
তারেকের উদ্দেশে ইসি সচিব-‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই’ ঢাকা থেকেই নির্বাচন করার ঘোষণা আসিফ মাহমুদের ভোলায় প্রেস ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস।। ভোলায় আয়োজিত হয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বক্তব্য প্রতিযোগিতা। লাখো জনতার ভালোবাসায় সিক্ত ভোলা-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর এয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোলার ৪ টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল বিএনপি। খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি : নাসীরুদ্দীন জোটের ১২ নেতাকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিল বিএনপি ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হবেন হিরো আলম সরিষাবাড়ীতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

লন্ডনে তারেক রহমান ওড. ইউনুসের দেড় ঘণ্টার বৈঠক: নির্বাচনী কৌশল ও আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে আলোচনা

ছামিয়া আক্তার লন্ডন থেকে
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনুসের মধ্যে আজ স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে বিকেল ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত লন্ডনে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দেড় ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে বাংলাদেশের আগামী রাজনৈতিক রূপরেখা, বিশেষ করে আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিএনপির কৌশল নির্ধারণ, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক সমীকরণ নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান এবং ভারতের ভূ-রাজনৈতিক প্রভাবকে ঘিরে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে, আলোচনায় উঠে আসে কীভাবে কৌশলগত সম্পর্ক পুনর্গঠনের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, প্রতিবেশী একটি দেশের সঙ্গে সরকারের নিরুত্তাপ ও একমুখী সম্পর্ক বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভারসাম্যকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

প্রফেসর ইউনুস বৈঠকে উল্লেখ করেন, “বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বহির্বিশ্বের কিছু প্রভাব অস্বীকার করার সুযোগ নেই। কিন্তু এসব প্রভাব যেন একতরফা না হয়—এটা নিশ্চিত করতে হবে।”

তারেক রহমান বৈঠকে স্পষ্ট করেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসী, এবং দেশে একটি গ্রহণযোগ্য, আন্তর্জাতিকভাবে পর্যবেক্ষিত, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া স্থিতিশীলতা ফিরবে না। তিনি বলেন, “আমরা নির্বাচন চাই—কিন্তু সেটা হতে হবে সকল দলের অংশগ্রহণে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিরপেক্ষভাবে।”

বৈঠকে এ-ও ইঙ্গিত করা হয়, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে এবং নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে সহানুভূতিশীল ভূমিকা নিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বৈঠকটি শুধু দলীয় কৌশল নির্ধারণ নয়, বরং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর সমর্থন সংগঠিত করতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..