শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ০২:০৮ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
গলাচিপায় বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশত: ১৪৪ ধারা জারি পটুয়াখালীর মহিপুরে ৩ টি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে জায়গা জমি বিরোধের জের ধরে হামলায় এক মহিলা আহত পুলিশ যেতে ভয় পেয়েছে’: মুজিবের বাড়ি ভাঙার সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে ইউনূস বাংলাদেশ ধর্মপাশায় কোরবানির ইতিহাস ও শরীয়তের বিধান বিষয়ক প্রশ্নোত্তর ও বক্তৃতা প্রতিযোগিতা হাসিনাসহ সাত জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সালাহউদ্দিনের গুমের অভিযোগ ডিসেম্বরেই নির্বাচনে অনড় বিএনপি,এনসিপি বলছে, জুলাই সনদের আগে ভোটের তারিখ নয় লাইভে এসে আত্মহত্যা করলেন হিরো আলম মোহনগঞ্জে নিষিদ্ধ জালের গুদামে অভিযান, বিপুল পরিমাণ জাল পুড়িয়ে ধ্বংস লোহাগড়ায় আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎ ক্যাবল চুরি, অন্ধকারে ২৬ হাজার গ্রাহক, জন ভোগান্তি চরমে

পুলিশ যেতে ভয় পেয়েছে’: মুজিবের বাড়ি ভাঙার সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে ইউনূস বাংলাদেশ

সামিয়া আক্তার uk
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

পুলিশ যেতে ভয় পেয়েছে’: মুজিবের বাড়ি ভাঙার সময় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্নে” ড. ইউনূস
বাংলাদেশ

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘সেসময় সরকার কার্যত অচলাবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। পুলিশ রাস্তায় বের হতেও ভয় পাচ্ছিল। আমরা জানতাম না, এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেব।’

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ এর বাসভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার সময় অন্তর্বর্তী সরকার নীরব ছিল কেন- যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে এক সাংবাদিকের কাছে এমন প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আজ বুধবার (১১ জুন) লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে ড. ইউনূস বক্তব্য প্রদানের পর স্থানীয় সংবাদকর্মী সামিয়া আক্তার তার কাছে এই প্রশ্ন রাখেন।

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, সেসময় সরকার কার্যত অচলাবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। পুলিশ রাস্তায় বের হতেও ভয় পাচ্ছিল। আমরা জানতাম না, এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেব।’

ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল—যখন সিটি করপোরেশনের বুলডোজার দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে ফেলা হচ্ছিল, তখন প্রশাসন কেন চুপ ছিল?

এসময় সরাসরি ভাঙচুর নিয়ে কিছু না বললেও ড. ইউনূস স্বীকার করেন, “একসঙ্গে অনেকগুলো প্রশ্ন আর সমস্যা চলে এসেছিল। সবকিছু একসাথে ঠিকভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। এটা এমন একটা সময় ছিল, যার মধ্য দিয়ে আমরা গেছি। সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাটাই তখন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় কাজ ছিল।”

‘সেসময় সরকার কার্যত অচলাবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। পুলিশ রাস্তায় বের হতেও ভয় পাচ্ছিল। আমরা জানতাম না, এই পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেব।’

এসময় সরাসরি ভাঙচুর নিয়ে কিছু না বললেও ড. ইউনূস স্বীকার করেন, “একসঙ্গে অনেকগুলো প্রশ্ন আর সমস্যা চলে এসেছিল। সবকিছু একসাথে ঠিকভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি।

এটা এমন একটা সময় ছিল, যার মধ্য দিয়ে আমরা গেছি। সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাটাই তখন আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় কাজ ছিল।”

তিনি বলেন, “এটা এমন এক সময় ছিল, যখন পুলিশ নিজেই জনগণের কাছে বৈধতা হারিয়েছিল। মানুষ তখন বলছিল, ‘আমার ভাইকে, ছেলেকে, বোনকে তোমরা গুলি করেছ—এখন আমাকে বাড়ি যেতে বলছ?’ মানুষ তখন পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। তখন পুলিশ যদি রাস্তায় নামত, জনগণ তাদের মারধর করত।”

“আমরা সেই পুলিশকে (আগের সরকারের থেকে) পেয়েছিলাম, যারা কিছুদিন আগেই শিশুদের ওপর গুলি চালিয়েছে”—যোগ করেন তিনি।

তবে ইউনুস জানান, সময়ের সাথে সাথে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করে। “ভাগ্যক্রমে, সময় আমাদের পক্ষে কাজ করেছে। মানুষ আবার পুলিশকে গ্রহণ করতে শুরু করেছে। এখন দেশে আবার শৃঙ্খলা ফিরেছে। আর এটাই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিজাদুঘর ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।

ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাড়িটি ভেঙে দেয় একদল মানুষ। সে সময় ঢাকা সিটি করপোরেশনের এক্সকেভেটর ব্যবহার করা হয়, আরও কয়েকশ মানুষ হাতুরি বাটাল নিয়ে ভাঙার কাজে যোগ দেয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..