মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪০ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
লোহাগড়ায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত মদনে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ভোলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না, আমরা প্রতিকার চাই, কালীগঞ্জে ফজলুল হক মিলন খুলনা-৫ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ডাক পেলেন রুবায়েদ ও লবী‌। মির্জাপুরে গোলাপী বেগম নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার আবু বাকের মজুমদারকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলা নেত্রকোণায় ‘সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা’ মিলছে না নড়াইলে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এইচ এম রাশেদ এর নেতৃত্বে গণমিছিল ও লিফলেট বিতরণ মদনে শিক্ষক এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন

রাঙ্গাবালী’তে উপযুক্ত জায়গা না থাকায় ঐতিহ্য হারাচ্ছে শতবর্ষী হাট-বাজার

মোঃ হানিফ মিয়া রাঙ্গাবালী পটুয়াখালী প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নে বার নং ডিগ্রি বাজারে মাঠ ভড়াট ও টলঘর না থাকায় ঐতিহ্য হারানোর শংষ্কায় বাজারটি।

প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার বসে এই বাজারটি। এখানকার স্থানীয় জনগণের বহুল প্রতীক্ষিত বজারটি পেয়ে উচ্ছ্বাসিত এলাকার ভোক্তা সাধারণ। হরেক রকম পন্য কেনাবেচা হয় এই বাজারে। আশে পাশের দু-চার গ্রামে নেই সাপ্তাহিক বাজার ফলে ক্রেতাদের বাধ্য হয়েই চড়া মূল্যে স্থানীয় বসতি দোকানদারের কাজ থেকে পণ্য কিনতে হত। এক সময় বাজারটি বেশ জাকমকপূর্ণ থাকলেও কালের বিবর্তনে বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় কিছু লোকের উদ্দ্যেগে বাজারটি পূণুরায় এ বছর চালু করা হয়। এতে ক্রেতাদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা বিরাজ করছে। প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার আসলেই এলাকার গরিব দুঃখী খেটে খাওয়া মানুষ সন্ধার পরে বাজারে ব্যাগ নিয়ে চলে আসে বাজার করার জন্য। গ্রামীন ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসা গ্রাম বাংলার বাজারগুলো প্রায় বিলুপ্তির পথে। এখানকার স্থানীয় লোকজন এই বাজারটিকে হারানো ঐতিহ্য ও স্থানীয় লোকজনের মিলনমেলা হিসাবে বিবেচনা করে। কারন প্রতি সপ্তাহে দুরদুরান্ত থেকে লোকজন আশে হরেক রকম পণ্য সামগ্রি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য, কেউ বা আশে তাদের নিজ আঙ্গিনায় ফলানো সবজি বিক্রি করার জন্য। এখানে সকল ধরণের শাক-সবজি ও সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করা যায় বিধায়, ক্রেতা সাধারণ খুশি।

বাজারটি স্থানীয় গ্রামীণ মেঠো পথে হওয়ার কারনে পুরুষ ও মহিলা সমান তালে বাজারে এসে তাদের পছন্দের পণ্যটি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন। সবকিছু মিলিয়ে স্থানীয় সকল পর্যায়ের ক্রেতা সাধারণ বাজারটি পেয়ে অনেক খুশি এবং উচ্ছ্বাসিত।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাজারটি পেয়ে সকল পর্যায়ের ক্রেতাসাধারণ খুশি হলেও। এই বাজারটিতে নেই কোন পাকা টলঘর, টিউবওয়েল, যথেষ্ট যায়গার সংকটে ভাসানী দোকানিরা দোকান বসাতে পাড়ছে না। এ নিয়ে বেধে যায় কারাকারি। শুকনা মৌসুমে কোনরকম চললেও বর্ষা বৃষ্টির দিনে টলঘর না থাকলে দোকান বসানো কোন রকমই সম্ভব হবে না। স্থানীয় ক্রেতাসাধারণের দাবী শিঘ্রই টলঘর, টিউবয়েল, ও মাটি ভড়াটের কাজটি সম্পাদণ করা হলে বাজারটি আরও জমজমাট হয়ে উঠবে।

বাজার কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোল্লা বলেন, হারিয়ে যেতে বসা বহু আগের পূরাণো এ বাজারটি এ বছর আমরা ইউএনও ও ডিসি মহোদয়ের অনুমতি সাপেক্ষে পূনুরায় চালু করি। এখন আমাদের বাজারটি রক্ষা করতে হলে, এখানে একটি মাঠ ভড়াট, খাল খনন ও একটি ডিপ টিওবয়েল অতিব জরুরি হয়ে পরেছে, আমরা স্থানীয় বাজার কমিটি মিলে যতদুর সম্ভব নিজেদের সাধ্যের মধ্যে টাকা পয়সা খরচ করেছি। এখন প্রসাশনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি যাতে অতি দ্রুত আমাদের বাজারের মাঠ ভড়াট,টিওবয়েল ও একটি টল ঘরের ব্যবস্থা করে দেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..