বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:০২ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
নভেম্বরে গণভোট আয়োজন ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি ইসলামী আন্দোলনের নরসিংদী জেলা বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচীর উদ্বোধন লোহাগড়ায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত মদনে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ভোলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না, আমরা প্রতিকার চাই, কালীগঞ্জে ফজলুল হক মিলন খুলনা-৫ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ডাক পেলেন রুবায়েদ ও লবী‌। মির্জাপুরে গোলাপী বেগম নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার আবু বাকের মজুমদারকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলা নেত্রকোণায় ‘সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা’ মিলছে না

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, মাঠেই চলছে শিশুদের ক্লাস

মোঃ হানিফ মিয়া রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫

পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের চরগঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হলেও কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই সেখানে চলছিল শ্রেণিকক্ষের কার্যক্রম।

বর্তমানে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদেরকে খোলা মাঠে বসিয়েই ক্লাস করাতে হচ্ছে। বৃষ্টি, কাদা এবং খোলা আকাশের নিচে বসে ছোট ছোট শিশুদের লেখাপড়ার এই করুণ চিত্র দেখে অভিভাবক মহল ও এলাকাবাসী গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বিদ্যালয়ের ছাত্রসংখ্যা প্রায় ১৫০ জন। পুরনো ভবনটি এতটাই জরাজীর্ণ যে, সিঁড়ি ও দেয়ালে ফাটল, ছাদে পানি চুইয়ে পড়া এবং প্লাস্টার খসে পড়ার মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ফলে শিক্ষার্থীদের জীবন প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে পড়ছে।

প্রসঙ্গত, নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে এবং কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়সীমা ছিল ২০২৩ সালের ৩০ জুন। তবে এখনও কাজ অসম্পূর্ণ এবং ভবনটি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার উপযোগী নয়।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ আমির হোসেন বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাধ্য হয়েই মাঠে পাঠদান চালিয়ে যেতে হচ্ছে।”

শিক্ষক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় ভবনের নির্মাণকাজ বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ শিক্ষার্থীদের মৌলিক শিক্ষা অধিকার মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেবাশীষ দাস বলেন, “বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ—বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

অভিভাবক ও এলাকাবাসী কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা বলছেন, “বাচ্চাদের ঝুঁকি নিয়ে নয়, নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষা নিশ্চিত করাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।”

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..