শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
নেত্রকোণায় মাদক ও বাল্যবিয়েকে লাল কার্ড প্রদর্শন করলো শিক্ষার্থীরা ডাকসুর ভোট গণনা দেখা যাবে সরাসরি লাইভে আজ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ, দেখা যাবে বাংলাদেশ থেকেও কালীগঞ্জে ৩৮০০ পিচ ইয়াবা সহ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আরিফুল ও আরিফ গ্রেপ্তার নড়াইল-২ আসনে এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ পল্লী বিদ্যুৎ গণছুটি ঘোষণা দিয়ে ৮০৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মস্থল ত্যাগ ১২ ঘন্টার মধ্যে নড়াইলের চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ মুন্নি খানম হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন আজ সুবর্ণচরে বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়। আশ্রয়প্রার্থী নিয়ে কড়াকড়ি: শিক্ষার্থী থেকে ইংলিশ চ্যানেল হয়ে আসা আশ্রয় সব ক্ষেত্রেই কঠোর অবস্থান যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি কারাগারে

গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ: রাঙ্গাবালীর একই পরিবারের পাঁচ জনের মৃত্যু

রাঙ্গাবালী প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫

রাজধানীর সূত্রাপুরের কাগজিটোলায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার একই পরিবারের পাঁচজন মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভ্যানচালক রিপন প্যাদা (৩৫) মারা যান।

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচজনের মধ্যে এ পর্যন্ত চারজন মারা গেছেন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইসিইউতে মারা যান রিপন মিয়া। তার শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।’

বাকি যারা আগেই মারা গেছেন তারা হলেন, রিপনের ছেলে রোকন (১৪), তামীম (১৮) এবং মেয়ে আয়শা (১)। রিপনের স্ত্রী চাঁদনী আক্তার (৩৫) মারা গেছেন বুধবারে। তাদের সবাইকে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে শায়িত করা হলেও আর ছোট মেয়ে আয়শাকে ঢাকার আজিমপুরে কবরস্থ করা হয়।

নিহত সকলের বাড়ি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়নের নেতা বাজার সংলগ্ন যুগির হাওলা গ্রামে।

জানা গেছে, গত ১০ জুলাই দিবাগত রাত ১টার দিকে পুরান ঢাকার সূত্রাপুরের কাগজিটোলা এলাকায় একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধদের প্রথমে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহত রিপনের মা জরিনা বেগম (৬৩) বলেন, “রিপনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল ঘটনার দিন। ও আমাকে ঢাকায় বেড়াতে যেতে বলছিল। আমার জন্য ঈদে কাপড় কিনেছিল। আমাকে দিতে পারেনি বলে রিপনও ঈদে নিজের জন্য কিছু কেনেনি। বলেছিল ঢাকায় গেলে আমাকে আম খাওয়াবে। রোজার আগে ওকে শেষবার দেখেছি, আর আজ মরদেহ দেখলাম।” — স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বুকে পাথরের মতো ব্যথা চেপে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

নিহত চাঁদনী আক্তারের বড় ভাই শামীম মীর (৩৭) বলেন, “আমার বোন দগ্ধ ছিল। আইসিইউতে ভর্তি ছিল। চিকিৎসকরা আমাদের কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি। তাই আমরা হাসপাতাল থেকে তার নাম কেটে নিয়ে আসি।”

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..