মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নে রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে
স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান স্মৃতি এন্টার প্রাইজের বিরুদ্ধে।
এ রাস্তা নির্মাণ কাজে উপজেলা প্রকৌশল তদারকি করার কথা থাকলেও এমন অনিয়ম দেখেও যেনো দেখছে না তারা। তদারকি কর্মকর্তার যোগসাজসে রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হরিরামপুর উপজেলার সাকুচিয়া বটতলা হতে মানিকনগর পাকা রাস্তা পর্যন্ত ২৩”শ মিটার রাস্তা নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৯১ লাখ ৮০ হাজার টাকা বাজেটে কাজ করছে স্মৃতি এন্টারপ্রাইজ।
এলাকাবাসী জানায়, এ রাস্তার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের কাটা মাটির মিশ্রিত বালি দিয়ে বক্স না করেই ব্যবহার করছে নিম্নমানের ইট খোয়াসহ নির্মান সামগ্রী। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কাজের অনিয়ম দেখে কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করলে কোন কর্নপাত করেনি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। অনিয়মের মাধ্যমে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুস সালাম।
হরিরামপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদা চৌধুরী, দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে বলেন, আমাদের এলাকার কাজ আমি নিজে দেখেছি, একদম খারাপ কাজ করছেন তারা। ইট খোয়া নিম্নমানের।
তিনি আরও জানান, এই কাজ কেও যেন না দেখে সেজন্য রাতের বেলায় নিম্নমানের খোয়ার সাথে রাবিশ মিশিয়ে রাস্তায় বিছায়। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজের কথা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বললে শুনেও না শুনার ভান করে বসে থাকে।
মানিকনগর গ্রামের আক্কাস আলী,দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে জানান, নিম্নমানের খোয়া মিশিয়ে রাস্তার কাজ করছে ঠিকাদার। এ খোয়া দিয়ে রাস্তার কাজ করলে তাড়াতাড়ি রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারগো তদারকি না থাকায় বাজে খোয়া দিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি তড়িঘড়ি করে রাস্তার কাজ শেষ করছে।
এব্যাপারে, স্থানীয় কৃষক মো.ফরিদ বলেন, অনেকদিন যাবৎ দেখতেছি তারা যে মানের কাজ করতেছে আর যে পরিমান দু’নম্বর খোয়া দিতেছে মনে হয় না রাস্তা খুব বেশি দিন টিকবে।
অভিযোগের ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আব্দুস ছালাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার রাস্তায় ভাল মানের খোয়া দিয়ে কাজ করছি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।
হরিরামপুর এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আলীর মুঠোফোনে এ রাস্তার বিষয়ে তথ্য চাইলে নানারকম তালবাহানা করে বলেন, আমি সব সময় মাঠে থাকি নানান জায়গায় যেতে হয় এই রাস্তার তথ্য আমার ভালো করে জানা নেই। আমি অফিসে গিয়ে জানাতে পারবো।
পরবর্তীতে জানা যায়, এ রাস্তার কাজ তার তদারকিতেই হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে তাকে একাধিক বার ফোন করেও আর তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে মানিকগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ফয়জুল হক, দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নাই। যদি রাস্তা নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে রাস্তা পরিদর্শন করে অনিয়ম পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।