বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
লোহাগড়ায় খুনের ঘটনার ৫ মাস পরেও থামছে না বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট, ভয় আর আতঙ্কে গ্রামছাড়া মানুষ  পাইকগাছায় লাইসেন্স বিহীন ঔষধ বিক্রয়ের দায়ে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা  মাটির নিচে পালিয়ে থাকলেও খুঁজে বের করে বিচারের জায়গায় আনা হবে ইনশাআল্লাহ্ -মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান মুরাদনগর উপজেলায় ২’শত ফুট লম্বা বাশেঁ সাকোঁ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে ২০ গ্রামের লক্ষাধীক মানুষ। নেত্রকোণায় বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় সিংড়া থানা পুলিশ কর্তৃক চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার, গ্রেফতার- ২ বাউফলে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ  ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে ৪ হেভিওয়েট প্রার্থী।  লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তারিকুল ইসলাম উজ্জলের গণসংযোগ  ট্রাক ড্রাইভারকে খুন করে রড ছিনতাইয়ের ঘটনায়  আটক-৪

ফরিদপুর চেয়ারম্যানের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী গুরুত্বর আহত।

স্টাফ রিপোর্টারঃফরিদপুর
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ মে, ২০২২

ফরিদপুরের
সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজান বয়াতির বাড়িতে ঢুকে তার ছেলে রাফসানকে (১০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তার স্ত্রী দিলজান বেগম ওরফে রত্নাও গুরুত্বর আহত হয়েছেন। তার অবস্থাও সংকটাপন্ন।

বুধবার (১৮ মে) বিকেল সাড়ে ৪.৩০ মিঃ দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চেয়ারম্যান মিজান বয়াতী ঢাকায় অবস্থান করছেন। বাড়িতে ১০ বছরের শিশুসন্তান রাফসানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন স্ত্রী দিলজাহান রত্না। বিকেল ৪টার দিকে ওই গ্রামের সানু মোল্যার ছেলে এরশাদ ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে চেয়ারম্যানের স্ত্রী ও ছেলেকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এসময় চেয়ারম্যানের স্ত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে এরশাদ পালিয়ে যান। পরে প্রতিবেশীরা দুজনকে উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাফসানকে মৃত ঘোষণা করেন। রত্নার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে, তার অবস্থাও সংকটাপন্ন।

স্থানীয়রা জানান, এরশাদ তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। এনিয়ে একাধিকবার সালিশ হয়। চেয়ারম্যান মিজান বয়াতি এই সালিশ করেছিলেন। কয়েকদিন আগে স্ত্রীর সঙ্গে এরশাদের বিচ্ছেদ হয়। সালিশের রায় পক্ষে না যাওয়ায় চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন এরশাদ। সে কারণেই তিনি এই হামলা চালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা জানান, চেয়ারম্যানের স্ত্রীর অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে চেয়ারম্যানের ছেলের মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছার পর তার সমর্থকরা এরশাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..