২৫ এপ্রিল ২০২৪ইং বৃহস্পতিবার ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে মন্দিরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পিটিয়ে নিহত দুই ভাইয়ের বাড়ীতে গিয়ে সমবেদনা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান এমপি। ২৪  এপ্রিল বুধবার রাতে নিহতদের বাড়ি নওপাড়ার চোপেরঘাট এবং ঘটনাস্থল পঞ্চপল্লী পরিদর্শন করেন তিনি। পঞ্চপল্লীতে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী  এবং  রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায়  জড়ীতদের দুইমন্ত্রী আসামীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির আশ্বাস দেন।পরিদর্শনকালে মৎস্য মন্ত্রী বলেন, যেভাবে তাদের পিটিয়ে মারা হয়েছে তা আদিম যুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তিনি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচার করা হবে বলে জানান। তিনি বলেন, দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা করে যারাই এই শান্তিপূর্ণ এলাকাকে অশান্ত করেছে। তাদের আইনের মাধ্যমে ফাঁসির কাঠগডায় দাঁড় করিয়ে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে। এসময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম, জেলা আওয়াামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক এসএম ইশতিয়াাক আরিফ, মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম, ইউএনও মামনুন আহমেদ অনীক উযপজেলাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যার পরে বিদেশ সফর শেষে ঢাকা থেকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান সরাসরি মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামে ডুমাইনের পঞ্চপল্লীতে নিহত আশরাফুল ও আসাদুলের বাড়ীতে যান। মন্ত্রী তাদের মা-বাবাসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন এবং শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান। তিনি এসময় নিহতদের পরিবারের এনজিও থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধের আশ্বাস দেন এবং জীবিকা নির্বাহের জন্য একটি হারিয়ে যাওয়া অটোভ্যান কিনে দেওয়াসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য আশ্বাস দেন। সেখানে সংক্ষিপৃত মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী পঞ্চপল্লী গ্রামে যান এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আব্দুর রহমান এক প্রতিক্রিযয়া জানান, হত্যাকান্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্ঠান্তমুলক বিচারের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, আসামি যারাই হোক তাদেরকে ফাসির কাঠগড়াায় দাঁড় করানো হবে। এলাকাবাসীর উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, আপনারা প্রশাসনকে সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করার জন্য সহযোগিতা করুন। এই ইস্যুকে নিয়ে এলাকািয় সকল ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সবাইকে সতর্ক করেন। এদিকে, দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ফরিদপুর-যশোর মহাসড়কে অবরোধ করেন স্থানীয়  বিক্ষুব্ধ জনতা। এ কারণে দ্বিতীয় দফায় বুধবার সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ৪ প্লাটন বিজিবিসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে জেলাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় আইনশৃক্সখলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, ফরিদপুরের মধুখালীর পঞ্চপল্লীর কালীমন্দিরে আগুনকে কেন্দ্র করে দুই শ্রমিক পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। ঘটনার একদিন পর শুক্রবার ১৯ এপ্রিল  রাতে মধুখালী থানায় এ মামলা তিনটি নথিভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় এপর্যন্ত ১২জন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম জানান।