দীর্ঘ বিরতির পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি টোয়েন্টি সিরিজের মধ্য দিয়ে মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে ফিরছে দর্শক। দেশের মাটিতেও পাকিস্তান সিরিজে পরাজয়ে শুরু টাইগারদের। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জয়ের আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেট হেরে যায় বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মিরপুরের গ্যালারিতে পাকিস্তানি দর্শকদের পাশাপাশি বাংলাদেশি দর্শকদের হাতেও পাকিস্তানের পতাকা দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের আউট করলে বা পাকিস্তানের কোন ক্রিকেটার ছক্কা মারলে দর্শকদের উল্লাস দেখে বুঝার উপায় নেই এটা বাংলাদেশের মাঠ নাকি অন্য কোন দেশের মাঠ।
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা শুক্রবার(১৯ নভেম্বর) তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন,খেলার সঙ্গে কোনো কিছু মেলানো যায় না এটা ঠিক, কিন্তু খেলাটা যখন আমাদের দেশে আর খেলছে আমাদের দেশ, সেখানে অন্য যে দেশই খেলুক না কেন, তাদের পতাকা তাদের দেশের মানুষ ছাড়া আমাদের দেশের মানুষ উড়াবে, এটা দেখে সত্যি কষ্ট লাগে। যে যাই বলুক, ভাই দেশটা কিন্তু আপনার।
তিনি আরও লিখেন, আজ হয়নি তো কাল হবে, না হলে পরশু হবে। আপনারা পাশে না থাকলে আর হবেই না। হারি বা জিতি স্টেডিয়ামে আমাদের দেশের পতাকা উড়ুক চিৎকার হোক বাংলাদেশ।’
এর আগে সোমবার (১৫ নভেম্বর) মিরপুরের একাডেমি মাঠে পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন করে পাকিস্তান। এরপরই তৈরি হয় ক্ষোভ, পাকিস্তানও পরের অনুশীলনগুলোতে পতাকা টানিয়ে রেখেছে পাশে। বিতর্কের মুখে শেষ পর্যন্ত বিসিবির কাছে অনুমতি চায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ জানান অনেকে। দেশটি যখন পাকিস্তান এবং সামনে যেহেতু লাল-সবুজের বিজয়ের মাস, আর তাই আলোচনার মাত্রা ছাড়াল বহুগুণে। তবে কেউ কেউ আবার এর সপক্ষেও যুক্তি দেখাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতেই মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয় পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের হেড কোচ হিসেবে সাকলায়েন মুশতাক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জাতীয় দলে পতাকা লাগানোর প্রচলন শুরু হয়েছে। সর্বপ্রথম নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এটি চালু হয়েছিল। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তা অনুসরণ করা হয়েছে।