নড়াইলের লোহাগড়ার রামপুর এতিম খানার এতিমদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত চাল কালোবাজারে বিক্রি করার সময় ২৭০ কেজি চালসহ এতিম খানার সুপারকে আটক করে লোহাগড়া থানা পুলিশ।
পরে ভ্রাম্যমান আদালতে এতিম খানার সুপারকে হাজির করলে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করে সাধারণ ক্ষমা করেন।করোনাকালে এতিমদের জন্য বরাদ্দ কৃত চাল কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় লোহাগডা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,সম্প্রতি নড়াইলের জেলা প্রশাসক লোহাগডা পৌর এলাকার দেয়ন শাহ্ ফয়জুল্লা এতিমখানা লিল্লা বোডিং মাদ্রাসা রামপুর দরগা শরীফ এতিম খানার এতিমদের খাবারের জন্য ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ করেন।বরাদ্দকৃত চালের মধ্যে ২৭০ কেজি চাল বিক্রির জন্য আজ (১২ জুলাই) সোমবার দুপুরে এতিমখানার সুপার আরিফুজামান হিলালী (৫৮) লোহাগডা বাজারে নিয়ে যান।কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস চুরিটাও করতে পাররেন না,গোপঁন সংবাদের ভিত্তিতে লোহাগডা থানা পুলিশ চালসহ ওই সুপারকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
এমন ঘটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোসলিনা পারভীন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই সুপারকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেন এবং জব্দকৃত চাউল পুনরায় ওই এতিমখানার ফেরত দেন।
এদিকে এমন নেক্কারজনক ঘটনায় লোহাগার সুশিল সমাজ ফুসে উঠেছেন,একজন এতিম খানার সুপার কি করে এতিমদের চাল কালোবাজারে বিক্রি করে এবং এত বড় জঘন্য কাজের মাত্র ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দিলো বুঝে আসেনা।এতিম খানার সুপার আজ যে কাজ করেছে এবং এত বড় অপরাধের জন্য যদি ৩ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে মাফ পান তাহলে এর পরেও আবারও এমন নেক্কারজনক জঘন্য কাজ সুপার করবে বলে জানান।
এতিমখানার সুপার আরিফুজামান হিলালীর এমন নেক্কার জনক ঘটনা ঘটানোর জন্য জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন লোহাগড়া বাসি।