শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
লাখো জনতার ভালোবাসায় সিক্ত ভোলা-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর এয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোলার ৪ টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল বিএনপি। খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি : নাসীরুদ্দীন জোটের ১২ নেতাকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিল বিএনপি ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হবেন হিরো আলম সরিষাবাড়ীতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মদনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত লোহাগড়ার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাজারে আগুন, অর্ধ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি লোহাগড়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পেলো ৩’শ অসহায় ও দরিদ্র রোগী

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সব মামলা বাতিল করল সরকার

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

২০১৮ সালের বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা বাতিল করেছে বর্তমান সরকার। নতুন করে অনুমোদিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর সংশোধনীতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ওই আইনে অভিযুক্ত এবং দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা সকলেই মুক্তি পাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেন, `সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-এর সংশোধনীর আওতায় ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে হওয়া সব মামলা, তদন্ত ও সাজা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে অভিযুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা মুক্তি পেয়েছেন।’

নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ধারা ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ এবং এসব ধারায় সহায়তার অভিযোগে চলমান সব মামলা ও তদন্ত কার্যক্রম বাতিল বলে গণ্য হবে। এসব ধারার অধীন আদালত বা ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সব সাজা ও জরিমানাও বাতিল হিসেবে বিবেচিত হবে।

এছাড়া একই বৈঠকে ব্যক্তিগত ডাটা সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং জাতীয় উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫-ও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, নতুন অধ্যাদেশগুলোর মাধ্যমে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ও উপাত্তের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। এখন থেকে ডাটা ব্যবস্থাপনায় আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকবে।

২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে শুরু থেকেই সাংবাদিক, লেখক, অধিকারকর্মী ও আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনা ছিল। ওই আইনে বহু ব্যক্তি গ্রেপ্তার ও হয়রানির শিকার হয়েছেন—এই সিদ্ধান্তকে তাদের অনেকেই স্বাগত জানাতে পারেন।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..