শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪৭ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
লাখো জনতার ভালোবাসায় সিক্ত ভোলা-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর এয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোলার ৪ টি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে উচ্ছ্বসিত তৃণমূল বিএনপি। খালেদা জিয়ার আসনে প্রার্থী দেবে না এনসিপি : নাসীরুদ্দীন জোটের ১২ নেতাকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিল বিএনপি ঢাকা-১৭ আসনে প্রার্থী হবেন হিরো আলম সরিষাবাড়ীতে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মদনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত লোহাগড়ার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত নাগেশ্বরীতে বাজারে আগুন, অর্ধ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি লোহাগড়ায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা পেলো ৩’শ অসহায় ও দরিদ্র রোগী

নড়াইলে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

শরিফুজ্জামান, নড়াইল প্রতিনিধি :
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

নড়াইল সদর উপজেলায় এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেছেন।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে নড়াইল সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম সদরের মাগুরা কালুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন। আর চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাড়ি নড়াইল সদরের বোড়ামারা গ্রামে।

মামলায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, চলতি মাসের ১৫ তারিখ বিকেলে নড়াইল সদরের মাগুরা কালুখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল ছুটির পর একটি শ্রেণির ৪ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ের এক কক্ষে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম। একজন ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাহিরে গেলে, শিক্ষক কৌশলে দুই ছাত্রকে পাঠান জাতীয় পতাকা খুলতে। এই ফাঁকে কোমলমতি ছাত্রীকে একা পেয়ে রুমের দরজা চাপিয়ে দিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এসময় শিক্ষার্থীর চিৎকার ও কান্নার শব্দে তার অন্য সহপাঠীরা ছুটে এসে দরজা ধাক্কা দিয়ে খোলে। এসময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে তড়িঘড়ি করে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ছেড়ে দিতে দেখে তার সহপাঠীরা।

আরও জানা যায়, শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ড শিক্ষার্থীরা দেখে ফেলায় তাদেরকে আবেগাপ্লুত করে কাউকে না জানানোর অনুরোধ করেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। শিক্ষার্থী বাড়িতে গিয়ে তার মাকে জানালে, সামাজিক অবস্থান ও সম্মানহানির ভয়ে চুপ থাকেন সকলে। ঘটনার তিনদিন পর ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বিষয়টি জানতে পারেন। এ বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে ও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে অভিযুক্ত শিক্ষক স্থানীয় পর্যায়ে তদবির চালান। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে অভিযুক্ত করে ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাতে সদর থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার বিরুদ্ধে স্থানীয় পর্যায়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে আসছেন। সেটার ফল হিসাবে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

এদিকে, ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ৭ দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করেন। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার মামলা দায়ের করলে ওই শিক্ষক গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে যান। সদর থানা পুলিশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..