পটুয়াখালীর গলাচিপায় রুমিয়া (১৬) নামে এক গৃহবধূর বাথরুমের চালের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১ টার দিকে গলাচিপা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুজিব সড়কের হাওলাদার বাড়ির পাশে বশিরের ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রুমিয়ার স্বামী বোরাক চালক মো: শাহীন ফকির (২১)। তিনি পানপট্টি ইউনিয়েনের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিবির হাওলা গ্রামের বেল্লাল ফকিরের ছেলে। পরিবারসহ তারা গলাচিপা পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বশিরের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
স্বজনদের দাবি স্বামী, শশুর —শাশুড়ী হত্যা করে বাথরুমের চালের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। মৃত গৃহবধূর রুমিয়া পানপট্টি ইউনিয়নের ১নম্ব ওয়ার্ডের বাসিন্দা রফিক গাজীর ছোট মেয়ে।
নিহতের পিতা রফিক গাজী জানান, পারিবারিক ভাবে ৭ মাস পূর্বে একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিবির হাওলা গ্রামের বেল্লাল ফকিরের ছেলে শাহীন ফকিরের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সয়ম যৌতুক এর জন্য মারধর করতো স্বামী। এমনকি বাবার বাড়ি বেড়াতে পর্যন্ত যেতে দিতো না। প্রায়ই মেয়ে ফোন করে মারধরের কথা তাদের জানাতো। তিনি আরও বলেন, মরদেহ দেখে মনে হচ্ছে না রুমিয়া আত্মহত্যা করেছে। এটা হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে।
মৃত রুমিয়ার বড় বোন সুমি বলেন, সোমবার রাতে রুমিয়া ফোন করে তাকে জানান স্বামী তাকে মারধর করেছে। এর আগেও ফোন করে প্রায়ই বলতো স্বামীর মারধরের কথা। তারা সবসময় বুঝিয়ে রাখতো। শাহীন অন্য মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে এমন কথাও তার বোন রুমিয়া তাকে বলেছেন। সুমি দাবি করেন রুমিয়াকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না।
রুমিয়ার স্বামী শাহীন বলেন, ‘আমি তাকে কেন হত্যা করব? সে কেন মারা গেছে আমি জানি না’। সে যৌতুকের বিষয় অস্বীকার করেন।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটির ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্বজনদের কোন অভিযোগ থাকলে মামলা নেয়া হবে। #
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..