সাতক্ষীরার সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলের কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাহাড়সম
দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ কতৃপক্ষের সাথে দেখা করে টেন্ডার ছাড়াই মালামাল বিক্রিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির বিষয়ে জানতে চান। তবে এসকল দুর্নীতির বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি মিলের দুর্নীতিপরায়ন ইনচার্জ আবুল বাশার।
অভিযোগগুলো হলো, টেন্ডার ছাড়াই ৭ ট্রাক ১১ ভ্যান পুরনো যন্ত্রাংশ কালোবাজারে বিক্রি, টেন্ডার ছাড়াই পুকুর খননের ২শ’ ২০ ট্রাক বালি ও ১শ’ ৬০ ট্রাক মাটি বিক্রি,টেন্ডার ছাড়াই ৫ লাখ টাকার ৮৭টি কাঠালগাছ ও ৪২টি আম গাছ বিক্রি ও আবাসিক গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি বানিজ্যিক রেট ১০ টাকা ৩০ পয়সার পরিবর্তে ২২ টাকা নির্ধারণ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়ক ইমরান হোসেন জানান,‘‘ সাতক্ষীরা টেক্সটাইল মিলস জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এই মিলের দুর্নীতি আমাদেরকে ভাবায়। মিলের আবাসন ও অন্যান্য সম্পদ থেকে ব্যাপক আকারে দুর্নীতি হয় বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। বিশেষ করে সম্প্রতি মিলের পুকুরের খনন কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। উর্ধতন কতৃপক্ষকে না জানিয়ে পুকুরের মাটি কালোবাজারে বিক্রি করা হয়েছে। ’’ অফিসিয়াল উত্তর নিতে আগামী শনিবার আবারও সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলে যাবেন বলে জানান তিনি।
সার্বিক বিষয়ে মিলের ইনচার্জ আবুল বাশার জানান,‘‘ ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ অফিসে এসেছিলেন। তারা বেশ কিছু বিষয়ে আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন। আমি উত্তর দিয়েছি। তারা সেসব বিষয়ের কাগজপত্র চেয়েছে। আমি উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে অনুমতি পেলে আগামী শনিবার তাদেরকে কাগজ দেখাব। ’’
এসময় ইমরান হোসেনের সাথে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমম্বয়ক নাজমুল হাসান রণিসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..