মদ্যপ ছেলের নামে তিন মাস আগে মোহনগঞ্জ থানায় মৌখিক অভিযোগ দিয়েছিলেন বাবা আবুল হোসেন। তখন পুলিশ ছেলে আরমান মিয়াকে পায়নি। পরবর্তী সময়ে আবুৱ হোসেন লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় পুলিশও আর এগোয়নি। এর মধ্যে গত শনিবার বিকালে নিখোঁজ হন আবুল হোসেন (৫৫) গতকাল মঙ্গলবার ভোরে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে স্থানীয় একটি খাল থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণা’র মোহনগঞ্জ উপজেলার ৪নং মাঘান- সিয়াধার ইউনিয়নের বড় বেথাম এলাকায়।
পুলিশ জানায়,আবুল হোসেনকে খুঁজে না পাওয়ায় তার ছোট ভাই হিরা মিয়া গত সোমবার রাত ৮ টার দিকে থানায় বিষয়টি জানান। পুলিশ তৎক্ষনাৎ মনে হয়, ছেলে আরমানের কথা।তাকে খুঁজে না পেয়ে তার বন্ধু মাইজহাট্টী গ্রামের শুকুর আলমের ছেলে বাহাম এলাকা থেকে আবিরকে রাতেই আটক করে। আবির পুলিশকে জানায়,আরমান তার বাবাকে খুন করে লাশ উপজেলার বড় বেথাম এলাকার সাপমরা খালে পুঁতে রেখেছেন।
সেই তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার ভোরে আবুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে। সেই সঙ্গে আটক করে তার স্ত্রী রুপবাহার ও কিশোরী মেয়ে চিন্তা মনিকে।
আজ বিকালে বুধবার (২২ মার্চ-২০২৩) মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আবির স্বীকার করেছেন যে শনিবার রাতে আবুল হোসেনকে নিজ বাসায় গলাকেটে হত্যা করে ছেলে আরমান। এ কাজে মা ও ছোট বোন চিন্তা মনি তাকে সহযোগিতা করে। পরে লাশ গুম করার জন্য আবিরকে ডেকে নেন আরমান। পরে বাড়ির পাশের সাপমরা খালে গর্ত করে লাশ পুঁতে রাখেন। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি। এদিকে পালিয়ে যাওয়া আরমানকে আটকের চেষ্টা চলছে
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..