শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৬ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
লোহাগড়ায় নাশকতার মামলায় ঠিকাদার মিন্টু গ্রেফতার বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের সাজা ৭ বছর করা হয়েছে। নেত্রকোণায় মামার হামলায় ভাগ্নে বউ নিহত নাশকতার মামলায় নড়াইলের সাবেক পৌর মেয়র আনজুমান আরা ও যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন শাহ জেল হাজতে বিসিআইসি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচনা হবে – তারেক জিয়া ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৯৭০ ফিলিস্তিনি নিহত আন্দোলনে শহীদ জসিমের মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ শরণখোলায় নিজের পাতা কারেন্টের ফাঁদে জড়িয়ে নিজের মৃত্যু। লোহাগড়ায় পৌর যুবদলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

নড়াইলে গৃহবধূকে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যা অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধ,

শরিফুজ্জামান, নড়াইল প্রতিনিধি :
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২

নড়াইল সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের সড়াতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আছিয়া বেগম (২২) ওই গ্রামের রনি শেখের স্ত্রী। তাদের আড়াই বছর বয়সের একটি ছেলে রয়েছে। রনি শেখ (২৫) মোবাইল কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঘটনার পর থেকে রনি শেখ পলাতক। স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রনিদের একতলা ভবনের জানালা দিয়ে আগুন ও ধোঁয়া দেখতে পান প্রতিবেশীরা। এরপর স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নেভান। ঘরের দরজা খেলা ছিল। বিছানায় পড়ে ছিল আছিয়া বেগমের লাশ। লাশের গলা কাটা ছিল এবং প্রায় পুরো শরীর পুড়ে গেছে। হাত ও পা পুড়ে বাঁকা হয়ে গেছে। পুড়েছে বিছানার চাদর, জাজিম, তোশক ও কাঁথা।
আশপাশের লোকজন জানান, আছিয়া একই গ্রামের এখলাছ শিকদারের মেয়ে। চার বছর আগে রনির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছর বয়সের একটি ছেলে রয়েছে। দুই বছর ধরে তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইফুল ইসলাম দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে বলেন, শোনা যাচ্ছে রনির অনৈতিক সম্পর্ক আছে। সে কারণে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। আছিয়া বেগমের সঙ্গে মাঝে একবার ডিভোর্স হয়, পরে আবার বিয়ে হয়।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, দাম্পত্য কলহের কারণে রনি তার স্ত্রীকে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। ওই বাড়িতে শিশুটি নিয়ে শুধু স্বামী-স্ত্রী থাকতেন। রনি পালিয়ে গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..