লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানা এলাকায় বিদেশ পাঠানোর নামে এক আদম বেপারী নিরীহ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ঘটনায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে দেনায়েতপুর পীর বাড়ির আবদুর জাহেরের স্ত্রী নাসরিন ভুঁইয়া ও পুত্র প্রবাসী আফজাল আহাম্মদকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নসু মিয়ার ছেলে রাজন হোসেন। যাহার সি আর মামলা নং ৭২৯/২২ইং। এতে তিনি উল্লেখ করে উক্ত নাসরিন ভুঁইয়া ও আফজাল দুবাইয়ে সুনাম ধন্য কোম্পানীতে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এলাকার অর্ধ শতাধিক সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
ভুক্তভোগী নসু মিয়া বেকার তিন ছেলেকে দুবাইয়ে চাকরির স্বপ্ন আর পরিবারের আয় বাড়াতে জমি-জমা,স্বর্ণালংকার,বিক্রি কিস্তিতিতে টাকা উত্তোলন করে নাসরিনের হাতে ১০ লক্ষ আশি হাজার টাকা তুলে দেন। কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে বাড়তি লাভের আশায় নামি কোম্পানীর ভিসা না দিয়ে তাদের দেওয়া হয় ২টি স্টুডেন্ট ভিসা। দুবাই গিয়ে কিছু দিনের মধ্যেই আফজালের চেহারা পরিষ্কার হয়ে উঠে। বুঝতে পারেন তারা ভুল যায়গায় টাকা প্রদান করেছেন। উক্ত আফজাল একজন প্রতারক এবং মিথ্যাবাদী লোক। প্রবাস জীবনের স্বপ্ন ভঙ্গ হওয়ার পর আদম বেপারী আফজাল তাদেরকে দেশে পাঠানোর কথাবলে পরিবারের কাছ থেকে আরো ১লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ।তাদের দাবি শুধু তারাই নয় ওই এলাকার একেরপর এক নিরীহ মানুষের নিকট হইতে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে তাদের সর্বস্ব আত্মসাৎ করিয়া সম্পদের পাহাড় গড়াই তাদের নেশা ও পেশা। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রাজন হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার মতো শত শত বেকার যুবকদের সাথে এভাবে প্রতারণা করে যাচ্ছে। তাদের খপ্পরে পড়ে আজ আমার পরিবার সর্বস্বান্ত। দুবাইয়ে সুনাম ধন্য কোম্পানীর ভিসার বিনিময়ে জমা দেওয়া টাকা ফেরত চাইলে নাসরিন উল্টো নারী ও শিশু নির্যাতন ও চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তাছাড়াও তিনি পুলিশেরও ভয়ভীতি দেখান। আমি এর ক্ষতিপূরণ ও বিচার দাবি করি। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট আদম ব্যবসায়ী নাসরিন ভুঁইয়া ও পুত্র প্রবাসী আফজাল আহাম্মদের নিকট দেওয়া টাকা ফেরত ও বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কমনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। এ ব্যাপারে আদম বেপারি পরিবারের দাবি তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়।