দোয়ারাবাজারে এক স্কুল শিক্ষিকে মারধরের ঘটনায় ফুঁসে ওঠেছেন উপজেলার সর্বস্তরের শিক্ষকেরা। অবিলম্বে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
ঘটনা সূত্র জানা যায়, উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের বোগলাবাজার গ্রামের জাফর খানের সঙ্গে পৈতৃক সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে একই পরিবারে প্রয়াত দীনবন্ধু বর্মনের স্ত্রী রেখা রানী বর্মনের। এরই জেরে গত শুক্রবার সকালে জাফর খান বিরোধীয় জমিতে জোরপূর্বক গাছ কাটতে গেলে বাঁধা দেন রেখা রানী এবং তার মেয়ে বোগলাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রিপা রানী। এ ঘটনায় জাফর খান তাদের উপর চড়াও হন এবং মা মেয়েকে বেধড়ক মারপিট করেন। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রেখা রানী দাস।
এ দিকে শিক্ষিকা রিপা রানীকে মারধরের ঘটনায় ফুঁসে ওঠেছেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। শনিবার দুপুরে দোয়ারাবাজার প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে করে রিপা রানী বলেন, জাফর খান বিরোধীয় সম্পত্তিতে জোরপূর্বক গাছ কাটতে গেলে আমার বাঁধা দেন। ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি আমাদের বেধড়ক মারপিট শুরু করেন। এসময় সুর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এসে আমাদের উদ্ধার করেন। টানাহেঁচড়ার সময় আমার ব্যবহৃত স্মার্টফোনটি তিনি নিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, জাফর খান আমাদের ধর্মত্যাগ করে চলে যাওয়ার পর থেকে আমাদের ওপর অকথ্য অত্যচার নির্যাতন করে আসছেন। মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে আমাদের নিঃস্ব করার চেষ্টা করছেন। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এর বিচার চাই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র সভাপতি মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, শিক্ষিকা মারধরের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা এবং এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি।
জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর বলেন, শিক্ষিকা এবং তাঁর মাকে মারধরের ঘটনায় লিখত দেওয়া হয়েছে। খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।