লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে কুসুম আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আবিরনগর এলাকার গণি মিয়া সর্দার বাড়ি থেকে কুসুমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
নিহত কুসুম ওই বাড়ির সৌদি আরব প্রবাসী মো. ইয়াছিনের স্ত্রী। তাদের সংসারে রাইফা আক্তার (৮) ও সাদিয়া আক্তার (৫) নামে দুটি কন্যা শিশু রয়েছে।
নিহত কুসুমের স্বজনদের অভিযোগ, ১২ বছর আগে ইয়াছিনের সঙ্গে কুসুমের বিয়ে হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কলহ দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে কুসুমকে দেখতে বোন হাফসা আক্তার ওই বাড়িতে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এ নিয়ে কুসুমের শ্বশুর খোকন, শ্বাশুড়ি সালমা বেগম ও চাচি শ্বাশুড়ি তাকে মারধর শুরু করেন। এসময় বাধা দিতে গেলে হাফসাকেও মারধর করা হয়। তাৎক্ষণিক হাফসা স্বজনদের কাছে ফোন দেন। পরিবারের লোকজন আসার আগেই কুসুমকে তারা (শ্বশুর-শাশুড়ি) পিটিয়ে হত্যা করেন।
নিহতের মেয়ে রাইফা আক্তার দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে জানিয়েছ, দাদা-দাদি মিলে তার মাকে মেরে ফেলেছে।
কুসুমের বোন হাফসা আক্তার বলেন, আমার সামনেই তারা কুসুমকে মেরেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।