গোলাপগঞ্জে প্রেমঘটিত কারণে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুই যুবক আহত হয়েছেন। রোববার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ পশ্চিম বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে।
আহতরা হলেন উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে আব্দুল আহাদ (২০), একই গ্রামের শেহনাজ আহমদের ছেলে হিমায়েত আহমদ (২০)। আটককৃত যুবক উপজেলার পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের ধারাবহর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য প্রয়াত আমান উদ্দিনের ছেলে সোহাগ আহমদ (২১)।
জানা যায়, বেশ কিছুদিন থেকে সোহাগ ও এসএসসি পরীক্ষার্থী আহাদদের সাথে প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে বিরোধ রয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এলাকায় এসএসসি পরিক্ষা শেষে আসে সোহাগসহ কয়েকজন। এসময় পূর্ব বিরোধের জের নিয়ে আহাদ, হিমায়েত সাথে সোহাগের বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে দু গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় সোহাগ তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আহাদ ও হিমায়েত স্টেপ করে। তাৎক্ষনিকভাবে সাধারন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে আহাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এছাড়াও হিমায়েত সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এদিকে ঘটনার সময় স্কুল ছাত্র ও স্থানীয়রা সোহাগকে আটকে করে স্কুল কর্তৃপক্ষ নিকটহস্তান্তর করে। এসময় খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে অভিযুক্ত সোহাগকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের দত্তরাইল গ্রামের আব্দুল হক বাদি হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।