শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মধুখালীতে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী মেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মধুখালীতে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা  গলাচিপায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত বাঁশখালীতে জমির বিরুধ নিয়ে সংঘর্ষ উভয় পাক্ষের আহত ১০ মধুখালীতে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী লোহাগড়ায় সংখ্যালঘুদের চলাচলের রাস্তা অবরুদ্ধ করে রেখেছে একদল ভূমি দস্যু  সন্ত্রাসী  লোহাগড়ায় পুলিশের তান্ডব প্রতিবাদে  এলাকাবাসীর বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন  বাগেরহাটের মংলায় গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে ১৫ কেজি গাঁজাসহ এক নারী মাদক কারবারি আটক নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জে হিলফুল ফুজুল যুব সংঘের উদ্যোগে ঈদ সামগ্রিক বিতরণ খুলনার রূপসায় সালাম জুট মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৬ টি ইউনিট ,

নীলফামারী বৃষ্টির স্বল্পতায় বাড়তি ব্যয়ের কবলে ডিমলার আমন চাষী।

(জামান মৃধা নীলফামারী):-
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২

আমন ধান রোপণের জন্য সাধারণত বৃষ্টির উপর নির্ভর করতে হয়। তবে এবছর প্রয়োজনীয় পরিমাণ বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকদের সেচ দিয়েই আমন ধান রোপণ করতে হচ্ছে। এতে কৃষি উৎপাদন খরচ বাড়ছে কৃষকদের।

বৃষ্টি নির্ভর আমন ধান রোপণের জন্য খ্যাতনামা প্রবচক খনা বলেছেন, ‘আষাঢ় মাসে বান্ধে আইল তবে খায় বহু শাইল আষাঢ়ে পনের শ্রাবনে পুরো ধান লাগাও যতো পারো।

উল্লেখিত খনার বচনে আষাঢ় মাসে জমির আইল বেঁধে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত ধান লাগানোর কথা বলেছেন।

আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণ মাসের ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও আশানরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় বৃষ্টি নির্ভর আমন ধান চাষে বিপাকে পড়ছে নীলফামারী ডিমলা উপজেলার কৃষকেরা। বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে সেচ দিয়ে আমন ধান রোপণে কৃষকের বিঘাপ্রতি প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে।

উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের ছাতুনামা গ্রামের কৃষক হযরত আলী বলেন, ডিজেল চালিত মেশিনের পানি দিয়ে জমি চাষ করছি। বৃষ্টি না হওয়ায় এবার হামার সর্বনাশ হইল। প্রতি ঘণ্টা হিসেবে জমিতে পানি সেচ দিতে ২০০/২৫০ টাকা খরচ হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ডিমলা উপজেলায় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার (কৃষি ও সিনপটিক) সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে বৃষ্টি হয়েছিলো ৮৮৯ মিলিমিটার। এ বছর জুলাই মাসে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ১৮০ মিলিমিটার। বৃষ্টি না হওয়ায় পুরো জেলাজুড়ে চলছে তাপদাহ।

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ২০৪৪৩ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে এ পর্যন্ত ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপন করা সম্ভব হয়েছে।

উপজেলা বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে স্বচ্ছল কৃষকেরা সেচ পাম্প দিয়ে রোপন শুরু করলেও ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষী কৃষকরা বৃষ্টির অপেক্ষায় রোপণে দেরি করছে।

খালিশা চাপানি ইউনিয়নের বাইশ পুকুর গ্রামের কৃষক কোরবান আলী মুন্সীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, বৃষ্টি না হওয়ায় এবার আমন ধানের উৎপাদন খরচ বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, আষাঢ় মাস পেরিয়ে শ্রাবণ মাসের প্রায় মাঝামাঝি সময় অথচ বৃষ্টির দেখা নেই। শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, হয়তো ধান রোপণের পর বৃষ্টি হয়ে হঠাৎ বন্যাও হতে পারে। অসময়ে বন্যা হলে ধানের ক্ষতি হবে।

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (কৃষিবিদ) সেকেন্দার আলী বলেন, ধান রোপণে দেরি হলেও ফলনে তেমন প্রভাব পড়বে না। কৃষকদের সেচ দিয়ে রোপণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..