শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মধুখালিতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা বিএনপির দন্তত কমিটির বিচার দাবি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ  লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি- স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি শিক্ষার্থীবান্ধব হবে কবে? ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাচনে সুবিধাজনক স্থানে আবু তালেব, লড়ে যাবেন সেলিম আকবর এবং শামশু। আমরা চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহন করুক, যত বেশী অংশ গ্রহন করবে ততবেশী প্রতিযোগিতা পূর্ণ হবে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রথম নারী মহাপরিচালক হলেন শিরীন পারভীন সরকারি সা’দত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ লোহাগড়ায় প্রচন্ড গরমে ৭ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ, স্কুল ছুটি ঘোষণা 

যশোরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার পর পুলিশের কাছে স্বামীর আত্মসমর্পণ

স্টাফ রিপোর্টার যশোর
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২

যশোরের অভয়নগরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে পাষণ্ড স্বামী জহিরুল ইসলাম বাবু। আজ শুক্রবার (১৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চেঙ্গুটিয়া গ্রামের শালবাগান এলাকায় আব্দুস সবুরের বাড়ির পিছনে কলাবাগানে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পাষণ্ড স্বামী জহিরুল ইসলাম বাবু সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মশিউর রহমান বিশ্বাসের ছেলে। নিহতরা হলেন : বাবুর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বিথি (২৮), মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (৯) ও সাফিয়া খাতুন (২)।

আটক বাবু পুলিশকে জানিয়েছেন, শ্বশুরবাড়ির সাথে তার বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি লোকজনও জানে। শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি অভয়নগরের কলাতলা থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসছিলেন। চাপাতলা গ্রামে আব্দুস সবুরের বাড়ির পিছনে কলাবাগানের কাছে এসে প্রথমে স্ত্রী বিথিকে এবং পরে বড় মেয়ে সুমাইয়া খাতুন এবং সব শেষে ছোট মেয়ে সাফিয়া খাতুনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। লাশ তিনটি সেখানে ফেলে বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনকে ঘটনা জানান বাবু। এসময় তার বড়ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িতে গেলে বাবু পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই কামরুজ্জামান বলেছেন, বড়ভাই মঞ্জুরুল ইসলামের খবর পেয়ে বাড়ি থেকে শুক্রবার বিকেলে জহিরুল ইসলাম বাবুকে আটক করা হয়। আটক বাবু প্রাথমিকভাবে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। এদিন সন্ধ্যায় অভয়নগর থানার এসআই মাসুদ রানা এসে বসুন্দিয়া ক্যাম্প থেকে বাবুকে নিয়ে যান। এরপর রাতে অভয়নগর থানা পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করেছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করার পর ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

যশোর পুলিশের মুখপাত্র ডিবি ওসি রূপন কুমার সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পারিবারিক কলহের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আসামি বাবু শ্বশুরবাড়ি অভয়নগরের সিদ্দিপাশা হতে ফেরার পথে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে। এরপর কোতোয়ালি মডেল থানার অধীনে বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে আত্মসমর্পণ করে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..