শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
প্রাণিসম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ”  প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী ২০২৪ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। লোহাগড়ার লাহুড়িয়া পুলিশের অভিযানে ১২ কেজি গাঁজা ও ১টি প্রাইভেটকারসহ ২ মাদক কারবারি গ্রেফতার। ঈদগাঁও ইউনিয়ন নির্বাচন: ৩ প্রার্থীর মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কে এগিয়ে!  সুন্দরবনের ফাঁদ সহ হরিণ শিকারী আটক করেছে বন বিভাগ মধুখালীতে প্রাণীসম্পদ প্রদর্শনী মেলা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মধুখালীতে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা  গলাচিপায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস পালিত বাঁশখালীতে জমির বিরুধ নিয়ে সংঘর্ষ উভয় পাক্ষের আহত ১০ মধুখালীতে অসহায় ও দুস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী লোহাগড়ায় সংখ্যালঘুদের চলাচলের রাস্তা অবরুদ্ধ করে রেখেছে একদল ভূমি দস্যু  সন্ত্রাসী 

স্ত্রী হত্যা মামলায় ১৯ বছর পর স্বামী গ্রেপ্তার।

বাবুুল আহমেদ মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি,
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে গর্ভবতী স্ত্রী জুলেখা হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি স্বামী সিরাজুলকে নারায়ণগঞ্জের চর সৈয়দপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ১৯ বছর পলাতক ছিলেন সিরাজুল। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ এর একটি দল নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন চর সৈয়দপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক জানান, ২০০২ সালের জুলাই মাসে মানিকগঞ্জ সদর থানার বারাহিরচর এলাকার সিরাজুল ইসলাম এর সাথে সিংগাইর থানাধীন উত্তর জামশা গ্রামের মো. আব্দুল জলিল এর মেয়ে জুলেখা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে বেশকিছু নগদ অর্থ, গহণা এবং আসবাবপত্র বর পক্ষকে দেয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে সিরাজুল আরো যৌতুকের জন্য জুলেখাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো এবং যৌতুক না দিতে পারলে তালাক দেয়ার ভয়-ভীতি দেখাতো। এরইমধ্যে জুলেখা ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। জুলেখার পরিবার কাঙ্খিত যৌতুক দিতে না পারায় সিরাজুলের সাথে পারিবারিক কলহ আরো বেড়ে যায়। সিরাজুলের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে জুলেখার বাবা ও ভাইসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সিরাজুল আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং মনে মনে জুলেখাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

তিনি আরও জানান, পূর্ব পরিকল্পনার অনুযায়ী, সিরাজুল ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর জুলেখাকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি সিংগাইরের উত্তর জামশা গ্রামে যায়। সিরাজুল পরদিন ৬ জুলেখাকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে মানিকগঞ্জ শহরে নিয়ে যায় এবং বিভিন্ন অজুহাতে ইচ্ছাকৃতভাবে কালক্ষেপণ করে গভীর রাতে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সিরাজুল মানিকগঞ্জ শহর থেকে জুলেখাকে নিয়ে শশুর বাড়ি না গিয়ে কৌশলে নিকটবর্তী কালীগঙ্গা নদীর পাড়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়।

এসময় সিরাজুল তার ব্যাগে থাকা গামছা বের করে জুলেখার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যা করে নদীর পাড়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। জুলেখার হওয়ার পাশাপশি তার ৮ মাসের৷ মাসের গর্ভস্ত সন্তানও হত্যার শিকার হয়।

প্রথম স্ত্রী জুলেখাকে হত্যা করার পর সিরাজুল সাভারে কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকে। ২০০৫ সালে সিরাজুল পুনরায় বিয়ে করে। সিরাজুল তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন চর সৈয়দপুর এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।

নিজেকে আড়াল করার জন্য সিরাজ নাম ধারন করে নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন চর সৈয়দপুর গ্রামকে বর্তমান ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরী করে। উল্লেখ্য যে, স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে মানিকগঞ্জ, বাড়াইল চর ব্যবহার করে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..