লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতায় ট্রাক চাপায় নরুল ইসলাম (৭৫) নামে এক মটর সাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এ সময় অপর আরোহী সিরাজুল ইসলাম (৫৯) মারাত্মক ভাবে আহত হলে তাকে দ্রুত হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
বুধবার (১৫ জুন ) দুপুর দেড়টার দিকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের ওই এলাকায় বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির একটি পাথরবোঝাই ট্রাক তার সামনের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ২ জনই ছিটকে পড়ে যায় ফলে ট্রাকের পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল চালক নূরুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
নিহত নূরুল ইসলাম ওই উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে। এবং আহত সিরাজুল ইসলাম বড়খাতা ইউনিয়নের পূর্ব সারডুবি গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানান, বুড়িমারী হতে ছেড়ে আসা পাথড় বোঝায় ঢাকা গামী একটি ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে মহাসড়কে পড়ে ট্রাকের চাকার নিচে ডুকে গেলে পিষ্ট হয়ে তার মৃত্যু হয়। ওই দুই মোটরসাইকেল আরোহী বড়খাতা থেকে হাতীবান্ধার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাকিম আজাদ জানান, এ ঘটনায় ঘাতক ট্রাকটি ও তার চালক হেলপাকে আটক করা হয়েছেন।
অপরদিকে একই দিনে সকালে ওই উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে বাস স্টান্ডে রহিমা বেগম (৭০) নামের এক মহিলা মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মারাত্মক ভাবে আহত হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়। এ সময় ওই মোটরসাইকেল চালক সিপন আহত হলে তাকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত রহিমা বেগম হাতীবান্ধা ডাক বাংলো এলাকার মৃত হাবিবুল্লাহ মিয়ার স্ত্রী ও শাহ গরীবুল্লাহ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক নয়নের মা।