নোয়াখালীর
বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়ার (৪) মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্বজনরা। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে বেগমগঞ্জ মডেল থানার সামনের সড়কে খুনিদের ফাঁসির দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এ সময় স্বজনরা তাসপিয়া হত্যার বিচার দাবিতে নানা স্লোগান দেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে খুনিদের ফাঁসির দাবি জানান।
নিহতের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, খুনিরা এর আগেও প্রকাশ্যে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত ছিল। মাত্র চার বছর বয়সের শিশু তাসপিয়াকে গুলি করতে এদের হাত কাঁপলো না। এদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দড়িতে ঝুলানোর দাবি জানান স্বজনরা।
এ সময় বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি স্বজনদের সড়ক থেকে বাড়ি ফিরিয়ে দেন। ওসি বলেন, আমরা আমাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছি। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাবার কোলে থাকা জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া নামে এক শিশু নিহত হয়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয় শিশুটির বাবা সৌদি প্রবাসী মাওলানা আবু জাহের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব হাজিপুর গ্রামের রাশেদ মিয়ার বাড়ির আলম পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের বাদশার কাছে মাটি বিক্রি করেন। কিন্তু বাদশা চুক্তির চেয়ে অতিরিক্ত মাটি কেটে নিতে চাইলে গত দুই দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ঝামেলা হয়।
একপর্যায়ে বুধবার বিকেলে বাদশা তার এলাকার রিমনসহ ৪-৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসীকে ভাড়া করে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থলে এসেই এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘটনাস্থলে থাকা প্রবাসী জাহের ও তার মেয়ে তাসপিয়া গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। ঢাকা নেওয়ার পথে রাত ৮টার দিকে কুমিল্লায় শিশু তাসপিয়ার মৃত্যু হয়।
নোয়াখালী সন্ত্রাসী গুলি জান্নাতুল ফেরদাউস তাসপিয়া মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী।