বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
চকরিয়ার ট্রেন দেখতে গিয়ে হাইওয়ে রুট পার হওয়ার সময় বাসের ধাক্কায় দুই  সহোদরের মৃত্যু, আহত ১ খুলনার রূপসা  উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) আয়োজিত সেমিনার । আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা আওয়ামী লীগ করে নৌকার বিরোধিতা করলে কঠোর ব্যাবস্থা নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে অনুপ্রেরণা ও অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্কুল/স্কাউট পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠান। খুলনায় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত সেতাবগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতীকে ধর্ষণ গোপালগঞ্জে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে আটক ১ কেএমপি’র সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশের কর্তৃক ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ০১টি মোটর সাইকেলসহ ০২ (দুই) জন ছিনতাইকারী গ্রেফতারঃ দেশের সব উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে বদলির সিদ্ধান্ত:নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আগে দেশের সব থানার ওসিদের বদলির নির্দেশ:নির্বাচন কমিশন

টাঙ্গাইলে পাঁচ দিনের মধ্যে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে(পিবিআই)

স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২১

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাঁচ দিনের মধ্যে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেশ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পিবিআই এর পুলিশ সুপার সিরাজ আল মাসুদ এক প্রেস বিফিং এর মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, মির্জাপুরের উপজেলার আজগনা ইউনিয়নের ঘাগড়া এলাকার একটি কলাবাগানে গত ১৭ ডিসেম্বর অজ্ঞাত এক মহিলার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। পরে পিবিআই টাঙ্গাইল জেলা এই হত্যা মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারী নিহতের স্বামী মো. ওয়াসীমকে শনাক্ত করে এবং তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেপ্তারকৃত ওয়াসিম দিনাজপুর জেলার খানসামা থানার ডাঙ্গারপাড়া এলাকার ইছাহক এর ছেলে।

পুলিশকে ওয়াসিম জানায়, ২০১৯ সালে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যানের পাশে একটি ইট ভাটায় কাজ করার সময় নাজমা বেগমের সাথে পরিচয় হয়। সে ভোলা জেলার লালমহন থানার দেবীর চর বেরীবাঁধ হাওলাদার বাড়ী এলাকার আব্দুর রহমানের মেয়ে। নাজমা ওই ইট ভাটায় বাবুর্চির কাজ করতো। ইট ভাটায় কাজ করার সময় নাজমার সাথে ওয়াসিমের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে।

পরে ২০২০ সালে করোনা মহামারীর কারণে ইট ভাটার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তখন ওয়াসিম নিজ এলাকা দিনাজপুর চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একথা শুনে নাজমা ওয়াসিমকে ঢাকা উদ্যানে দেখা করার কথা বলে। পরে নাজমার ভাড়া করা বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নাজমা ও তার লোকজন জোরপূর্বক ওয়াসিমের সাথে নাজমার বিয়ে পড়ায় এবং তিন লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করেন।

পরবর্তীতে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর মির্জাপুর ইট ভাটায় নাজমা বেগম ওয়াসিমের সাথে দেখা করতে আসে। পরে সেখানে দুই জনের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে নাজমা তাকে দেনমোহরের তিন লক্ষ টাকা ও ডিভোর্স চায়, তা না হলে মামলা করার ভয় দেখায়। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে আরো ঝগড়া হয়। পরে ইট ভাটার পাশে কলাবাগানে ওয়াসিম নাজমার গলায় থাকা উড়না দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার জন্য কলাবাগানের ভিতর মাটি চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।

১৭ ডিসেম্বর অবস্থায় নাজমা বেগমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই নাজমা বেগমের বড় ভাই হোসেন ওরফে জুয়েল বাদি হয়ে ওয়াসিমকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দিনাজপুরের খানসামা পুন্সিপাড়া থেকে ওয়াসিমকে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..