বিশ্ব নদী দিবস ২০২১ উপলক্ষে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস এর উদ্যোগে বাংলাদেশের ৫১ টি স্থানে নদী বাঁচাও বাংলাদেশ বাঁচাও,বাংলাদেশের নদী বাংলাদেশের প্রাণ,দেশ বাঁচাতে নদী বাঁচান এ রকম বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে নদী রক্ষায় পদযাত্রা, নদী ভ্রমণ, মানববন্ধন ও র্যালি সহ নানান কর্মসূচীর মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘’মানুষের জন্য নদী’’
।
১৯৮০ সালে কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া রাজ্যে শিক্ষক ও নদীপ্রেমিক মার্ক অ্যাঞ্জেলোর উদ্যোগে দিবসটি পালনের সূচনা হয়। পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়ায় তা ছড়িয়ে পড়ে। ২০০৫ সালে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে দিবসটি সমর্থন করা হয়। বাংলাদেশে ২০১০ সাল থেকে নদী দিবস পালন শুরু করা হয়।
আজ ২৬ শে সেপ্টেম্বর-২০২১ সকাল ১০ টায় শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় পরিষদের আয়োজনে এক ছাত্র-যুব সমাবেশে করা হয়। গ্রীন ভয়েস চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম রাতুল এর সঞ্চালনায় গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়ক হুমায়ুন কবীর সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমন্বয়ক শাকিল কবির,রংপুর বিভাগীয় সমন্বয়ক কাজী মাহমুদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক ইশরাত জাহান, পার্বত্য চট্টগ্রাম গ্রীন ভয়েস সমন্বয়ক সাচিনু মারমা, বৃহত্তর খুলনা জেলার সমন্বয়ক হাফসা তাসনিম প্রমুখ।
গ্রীন ভয়েস এর প্রধান সমন্বয়ক আলমগীর কবির নওগাঁ জেলা শাখার নাগরিক সমাবেশে যোগদান করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদী রক্ষার জন্য বারবার তাগিদ দিলেও বাস্তবায়নে কারো মধ্যেই ততটা তৎপরতা দেখা যায় না, দেশের নদীগুলো রক্ষায় সরকারি-বেসরকারি একক কোন প্রতিষ্ঠান নেই। নদীর দেখভালের জন্য যে সকল প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। নদী রক্ষায় সকলের সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।
সভাপতির বক্তব্যে গ্রীন ভয়েস এর সহ সমন্বয়ক হুমায়ুন কবীর সুমন বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন রাজনীতিবিদরাই নদী দখল করে থাকে এমনকি নদীর ইজারা গ্রহণ করে থাকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি নদী ধ্বংসের প্রধান কারণ। যারা নদী দখল কর্ দূষণ করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না, এইজন্যই নদী গুলোর সর্বনাশ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, নদী ধ্বংসের জন্য একক কোনো প্রতিষ্ঠান দায়ী নয়, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জেলা পরিষদের সাথে সংশ্লিষ্ট মহল পর্যন্ত নদী ধ্বংসের পেছনে দায়ী বলে মনে করেন। ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয় নদীর জমি যদি কোন ব্যক্তির নামে খারিজ না করত কিংবা খাজনা গ্রহণ না করতো তাহলে সেই জমির মালিকানা ব্যক্তি কখনো দাবি করতে পারতো না। উপজেলা ও জেলায় ভূমি ব্যবস্থাপনা দেখভালের দায়িত্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের, এই দুই কর্মকর্তা উপজেলা ও জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি, কেউ অবৈধভাবে নদী দখল, দূষণ ও প্রভাহ বাঁধাগ্রস্ত করতে চাইলে এই দুই কর্মকর্তার তা বন্ধ করার কথা। কিন্তু তারা সেটা করছে না। গ্রীন ভয়েস থেকে আজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি নদী রক্ষায় সোচ্চার ভুমিকা রাখার আহবান জানাচ্ছি।