মুন্সিগঞ্জের খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে স্বামীকে হত্যা করার পর রান্নাঘরে লাশ পুঁতে সেখানেই নিয়মিত দুইমাস ১৪ দিন রান্না চালিয়ে গেছেন স্ত্রী।
লোমহর্ষক এমনই ঘটনা ঘটেছে মুন্সিগঞ্জের সদরের উপজেলার পূর্বশীলমন্দি এলাকায়। এ ঘটনায় ঘাতক স্ত্রী আকলিমা আক্তারকে গ্রেফতারের পর নিহত স্বামী আরাফাত মোল্লার (৫০) মাটিচাপা দেহাবশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। এর আগে এদিন সকাল ১১টায় আকলিমাকে আটক করা হয়। নিহত আরাফাত পূর্বশীলমন্দি এলাকার মৃত দুঃখাই মোল্লার ছেলে ও ৪সন্তানের জনক।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশ সূত্রে জানাযায়, চলতি বছরের গত ২ মে আরাফাত নিখোঁজ সংক্রান্তে ১৫ মে আরাফাতের স্ত্রী সদর থানায় একটি জিডি করে। পরবর্তীতে ৩০ মে একটি মামলা করে। মামলার বিষয়ে বিভিন্নভাবে তদন্ত চলিয়ে যায় পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায় আজ শুক্রবার (১৬ই জুলাই) সকালে আকলিমার সাথে এক প্রতিবেশির কথোপকথনের ভিডিও পুলিশের হাতে আসে।
পুলিশের হাতে আসা ভিডিওতে দেখা যায়, আকলিমাই আরাফাতকে হত্যা করে ঘরের পাশে রান্নাঘরে পুতে রাখার বিষয়টি বলছে প্রতিবেশির কাছে। এর প্রেক্ষিতে সকালে আকলিমাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পরকিয়াকে কেন্দ্র করে সে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে। পরে আকলিমাকে ঘটনাস্থলে নেওয়া হলে নিহতের লাশ পুতে রাখার স্থান দেখিয়ে দেয় সে।
লাশ শনাক্তের পর পুলিশ সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মাটি খুড়ে দেহাবশেষ উদ্ধার করে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক জানান, বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পারি আকলিমাই আরাফাতকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আটকের পর আকলিমা স্বীকার করে তার স্বামীর একটি মহিলার সাথে পরকিয়ার সম্পর্ক ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্ত্রী আকলিমা ও জড়িতে সন্দেহে রিয়াজ নামের অপর আরেকজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মাটিতে পুতে রাখা নিহতের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে।