শরণখোলায় সনাতন ধর্মালম্বীদের আসন্ন শারদীয় দূর্গা উৎসব পালনের প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে।
আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে শরণখোলা উপজেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে । অন্যানের মধ্যে সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শরণখোলা আমীর মাওলানা রফিকুল ইসলাম কবির , বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জনাব আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত সহ আরো অনেকে। শরণখোলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জনাব বাবুল দাস সেখানে বক্তব্য রাখেন।
এ বছর শরণখোলার চারটি ইউনিয়নে ২০টি মন্ডপে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে ধানসাগর ইউনিয়নে ৭টি, খোন্তাকাটা ইউনিয়নে ২টি,রায়েন্দা
ইউনিয়নে ৬টি এবং সাউথখালী ইউনিয়নে ৫টি দুর্গা মন্ডপে দূর্গা প্রতিমা স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। দূর্গা
উৎসবকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ব্যপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা গেছে।
আজ (মঙ্গলবার ০৮.১০.২৪ইং) সকাল ৯ টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শরণখোলা উপজেলার উদ্যোগে শারদীয় দূর্গাপূজায় নিরাপত্তা সহযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য এক জরুরী মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। অন্যান্যের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন, শরণখোলা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ও ২ নং খোন্তাকাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মাওলানা রফিকুল ইসলাম কবির, জামায়াতে ইসলামী শরণখোলার সাবেক আমীর ও কর্মপরিষদ সদস্য জনাব মাওলানা ওবায়দুল হক সেলিম , শরণখোলা জামায়াত সেক্রেটারি জনাব মাওলানা মোস্তফা আমীন, সদর রায়েন্দা ইউনিয়ন জামায়াত আমীর জনাব মাওলানা মনিরুজ্জামান , খোন্তাকাটা ইউনিয়ন জামায়াত আমীর মাওলানা জাকির হোসেন , ধানসাগর ইউনিয়ন জামায়াত আমীর মাস্টার আলী আহমদ আকন। সাউথখালী ইউনিয়ন জামায়াত আমীর মাওলানা মোশাররফ হোসেন, শরণখোলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি মাওলানা নুরুজ্জামান মীর সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করবে এতে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, কোন দুষ্কৃতকারী যেন কোন প্রকার অঘটন ঘটাতে না পারে, সেই লক্ষ্যে জামায়াত-শিবিরের প্রায় চার শতাধিক কর্মী বিভিন্ন মন্দিরে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করবেন। কারো গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তাৎক্ষণিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরিয়ে দেয়ার আহবান জানান।
সভায় পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জনাব বাবুল দাস উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন,আগামী ৯অক্টোবর থেকে দুর্গা পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। উপজেলার ২০টি মন্ডপে
নির্বিঘ্নে পুজার সকল প্রস্ততি শেষ হয়েছে ।কোন ধরনের নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীবৃন্দ তাদের পূজা মন্ডপে নিরাপত্তা প্রহরায় স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করবেন জেনে তিনি তাদেরকে ধন্যবাদ জানান এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ এ এইচ কামরুজ্জামান বলেন, প্রতিটি মন্ডপে
সার্বক্ষনিক পুলিশ পাহারা এবং উপজেলার সর্বত্র পুলিশী টহল কার্যক্রম চলমান
থাকবে। শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার সিংহ সোমবার উপজেলার
কয়েকটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করে এসে সাংবাদিকদের বলেন,শরণখোলায় দূর্গা
পুজার প্রস্ততি সন্তোষজনক। শান্তিপূর্ণভাবে দূর্গা পূজা পালনে উপজেলা প্রশাসন ব্যপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিটি মন্ডপে সরকার থেকে
অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে ইউএনও জানিয়েছেন।