রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৯:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
মধুখালিতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা বিএনপির দন্তত কমিটির বিচার দাবি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ  লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি- স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি শিক্ষার্থীবান্ধব হবে কবে? ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাচনে সুবিধাজনক স্থানে আবু তালেব, লড়ে যাবেন সেলিম আকবর এবং শামশু। আমরা চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহন করুক, যত বেশী অংশ গ্রহন করবে ততবেশী প্রতিযোগিতা পূর্ণ হবে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রথম নারী মহাপরিচালক হলেন শিরীন পারভীন সরকারি সা’দত কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত মুরাদনগরে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ লোহাগড়ায় প্রচন্ড গরমে ৭ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ, স্কুল ছুটি ঘোষণা 

মুরাদনগর উপজেলায় ২’শত ফুট লম্বা বাশেঁ সাকোঁ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে ২০ গ্রামের লক্ষাধীক মানুষ।

আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও নির্মাণ হয়নি ব্রীজ ২০ গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ২’শত ফুট লম্বা বাঁশের সাঁকো

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখোলা ও দৌলতপুর সড়কের আর্সি নদীর উপর স্বাধীনতার ৫২ বছরেও কোন প্রকার ব্রীজ না থাকায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে ২শ’ফুট লম্বা সাকুঁ দিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে ২ লক্ষাধিক মানুষের। বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচলের কারণে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। এ স্থানে একটি ব্রীজের জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বহু আবেদন-নিবেদন করা হলেও বিভিন্ন সময় আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজো তা বাস্তবায়িত না হওয়ায় এ পথে প্রতিদিন যাতায়তকারী ২০ গ্রামের ২ লক্ষাধীক লোকের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষ এ দিকে নজর দিবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই নদী পারাপার হয় বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের ধনপতিখোলা, কালারাইয়া, মোহাম্মদপুর, ঘোড়াশাল, সোনাকান্দা, জোগেরখিল, মেটংঘর, দৌলতপুর গ্রামের মানুষ। এছাড়া রোয়াচালা, কুড়–ন্ডী, পিপিড়িয়াকান্দা,  চুলুড়িয়া, বড়িয়াচুড়া, কুড়াখাল, কালীসিমা, পেন্নই, দিঘিরপাড়,পাজিরপাড়, কাউইন্নামুড়ি, বৃষ্ণপুর, শ্রীকাইল, চন্দনাইল, রামচন্দ্রপুর, বি-চাপিতলাসহ উপজেলার উত্তর অঞ্চলের লোকজনের বাঙ্গরা বাজার থানা সদরের মধ্যে স্থলপথে যোগাযোগ করতে হলে প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়ক ঘুরে আসতে হয়। এ সাঁকো দিয়ে প্রতি দিন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কামার-কুমার, জেলে-তাঁতি, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেনীর-পেশার মানুষসহ প্রায় তিন হাজার লোক যাতায়েত করে থাকে। কিন্তু ব্রীজের অভাব ২০টি গ্রামের লোকজনের পারাপার, প্রায় ১০ একর কৃষি জমিতে কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপন্য বাজারে আনতে ও গবাদি পশু পারাপারের সময় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ফলে প্রতি বছরই এলাকাবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে ও সহযোগিতায় নিজস্ব অর্থায়নে লাখ টাকা ব্যয়ে এই বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়ে থাকে।
কখনো সাঁকুটি হয়ে পরছে ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পোহাতে হয় এ এলাকার কয়েক হাজার শিক্ষার্থীদের। এমন ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন কোমলমতি শিশু-কিশোর, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়য়া শিক্ষার্থী বাধ্য হয়ে সাকোঁর উপর দিয়ে দিনের পর দিন চলাচল করতে হচ্ছে। এ এলাকায় কোন প্রাথমিক, উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ নেই। তাই বাধ্য হয়ে খালের এপাড় ও ওপাড়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে লেখা-পড়া করতে হয়। যার ফলে অভিবাবকদের থাকতে হয় আতংকের মধ্যে। কখনো পা ফসকে বই-খাতা পড়ে যায় খালে, অনেকে আহত হয়ে ভয়ে লেখা-পড়া বন্ধ করে দিয়েছে।
বর্ষা মৌসুমে জোয়ার আসে। শুকনো মৌসুমে পানি তেমন একটা থাকে না। যুগ যুগ ধরে এ এলাকার লোকজন অবহেলিত হয়ে বসবাস করছেন। দেশজুড়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এ এলাকা বঞ্চিত হয়ে আছে। কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে বাড়ি থেকে কাঁধে করে উপজেলা সদরের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। ব্রীজটি নির্মান করা হলে যানবাহন যোগে অসুস্থ ব্যক্তিসহ লোকজন খুব সহজেই যাতায়াত করতে পারতেন। এ এলাকার লোকজনের যাতায়াতে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে বলে স্থানীয়দের আশা।
বাঙ্গরা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাহার খান বলেন, এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি আর্সি নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের। আমি অনেক বার এমপি-মন্ত্রীর কাছে গিয়েও বরাদ্দ পাইনি। সেতুটি নির্মিত হলে মুরাদনগর উপজেলা উত্তর অঞ্চলের ২০ গ্রামের লোকদের দূর্ভোগ কমবে। আরও উন্নত হবে তাদের জীবনমান।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..