সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
কক্সবাজার জেলায় ১০ম বারের মতো শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারি অফিসার মহসিন ও শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী সোলায়মান লোহাগড়ায় নবগঙ্গা ডিগ্রী কলেজের দূর্নীতিবাজ সভাপতি রাশিদুল বাশার ডলারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্সী নজরুল ইসলামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  মিল্টন ব্লেড-ছুরি দিয়ে নিজেই অপারেশন করতেন, তথ্য জানালো ডিবি মধুখালিতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা বিএনপির দন্তত কমিটির বিচার দাবি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ  লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি- স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি শিক্ষার্থীবান্ধব হবে কবে? ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাচনে সুবিধাজনক স্থানে আবু তালেব, লড়ে যাবেন সেলিম আকবর এবং শামশু। আমরা চাই নির্বাচনে সবাই অংশগ্রহন করুক, যত বেশী অংশ গ্রহন করবে ততবেশী প্রতিযোগিতা পূর্ণ হবে,

স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ উদ্বোধন।। মাওয়া সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী

ফৌজি হাসান খান রিকু  লৌহজং উপজেলা প্রতিনিধিঃ
  • আপলোডের সময় : মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৩
 স্বপ্নের পদ্মা সেতুর পর পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বহুল আকাঙ্ক্ষিত আরেকটি স্বপ্নের দুয়ার খুলেছে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার সকালে  মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন প্রাঙ্গণে তিনি সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন। রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। এ ছাড়া মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি ও সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বক্তব্য দেন। সুধী সমাবেশে দেশের নানা স্তরের খ্যাতিমান ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। এর আগে, সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সড়ক পথে গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে তিনি মাওয়া পৌঁছান।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর অতিথিদের নিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে ট্রেনে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেল স্টেশনের উদ্দেশ্য রওনা করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুপুর ২টায় ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। পরে বিকেল চারটায় সড়কপথে ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেল কর্তৃপক্ষ জানান, শুরুতে তিনটি স্টেশনে ট্রেন থামবে। এগুলো হলো মাওয়া, পদ্মা (জাজিরা) ও শিবচর। পাশাপাশি শিগগিরই চালু হবে মুন্সীগঞ্জের নিমতলা স্টেশন।
রেলপথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলাসহ যাবতীয় বিষয়ে প্রস্তুত রাখা হয় বলে জানান প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল হক।
ঢাকা-ভাঙ্গা রেল রুট এদিন উদ্বোধন করা হলেও এই রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হবে আরও পরে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেল ট্র্যাক নির্মাণ করছে। এর ৮২ কিলোমিটার অংশ ঢাকা ও ভাঙ্গাকে সংযুক্ত করে খুলে দেয়া হলো এবং এর যশোর সংযোগকারী অবশিষ্ট অংশটি আগামী বছরের জুনে চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত বছরের জুনে যুগান্তকারী পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক বছর দুই মাস পর পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল সার্ভিস উদ্বোধন হলো। গত ৭ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রুটে বিশেষ ট্রেনের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়।
এর আগে, পদ্মা সেতুতে পাথরহীন রেললাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর গত ৪ এপ্রিল ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্ত পর্যন্ত ট্রায়াল ট্রেন চালায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
গত বছরের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ নির্মাণ প্রকল্প’-এর আওতায় ঢাকা ও যশোরের মধ্যে রেল সংযোগ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯,২৪৬.৮০ কোটি টাকা। এতে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১,০৩৬.৭০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে।
প্রকল্পটি সমাপ্ত হওয়ার পর রেল যোগাযোগ পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে রাজধানী শহরের প্রবেশ পথ আরও বর্ধিত হবে- যা মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর এবং নড়াইল জেলার নতুন এলাকাকে যুক্ত করবে।
প্রকল্পটি ঢাকা-যশোর-খুলনাকে ২১২.০৫ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুট দিয়ে বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপন করবে।
এটি বাংলাদেশে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আরেকটি উপ-রুট স্থাপন করবে এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক মালবাহী ও বিজি কনটেইনার ট্রেন পরিষেবা চালু করবে। এই রুটটি কনটেইনার বহনের জন্য গতি এবং লোড সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..