সততা ও নৈতিকতা ছাড়া জীবনে সফলতা পাওয়া যায় না উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ১৯৭১ সাল আমাদের গৌরবের। একাত্তরের চেতনাকে আমাদের মনে-প্রাণে ধারণ করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ৬তলা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি একদিনে প্রধান বিচারপতি হইনি। এর পেছনে অনেকের অবদান রয়েছে। সবচেয়ে বেশি অবদান সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষকদের। বাবা-মা আমাদের জন্ম দিয়েছেন তবে শিক্ষকদের অবদান আমাদের জীবনে অনস্বীকার্য।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, একাত্তরের চেতনা ধারণ করতে না পারলে ত্রিশ লক্ষ শহীদের সাথে বেইমানি করা হবে। আমরা যদি আমাদের দেশকে উন্নত করতে পারি, তবে আমাদের অন্যদেশে কাজ করতে যেতে হবে না।
সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আমানুল্লাহ আল হাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম, জেলা ও দায়রা জজ চাঁদ মোহাম্মদ আব্দুল আলিম আল রাজী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এস এম আফজাল হোসেন, সাবেক অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওয়াদুদ, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রিংকন বিশ্বাস প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী অধ্যাপক মো. অলিউর রহমান।
এর আগে প্রধান বিচারপতি সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিতব্য বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মামলা জট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামলার জট কমিয়ে জনগণ যাতে সহজে ন্যায়বিচার পায় সেজন্য বিচারক ও আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। সারা দেশে ৪০ লাখ মামলা পেন্ডিং রয়েছে। এসব মামলা নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই মুশকিল।
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..