লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায় লোডশেডিং বেড়েছে। তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মানুষ। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।রামগঞ্জ সাব স্টেশনের কর্মকর্তা জানিয়েছেন তারা চাহিদার এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন এবং কবে নাগাদ এই সমস্যার সমাধান হবে এই ব্যাপারে উপর থেকে কোন নির্দেশনা আসে নাই। এছাড়াও উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ আফিসে বার বার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের কাছ থেকে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
রবিবার রামগঞ্জে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দু-তিন এ গরম কমার কোনো সুখবর দিতে পারছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ পরিস্থিতি আরও চার-পাঁচ দিন থাকবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা।
একদিকে তীব্র গরম অপরদিকে লোডশেডিং—দুই কারণে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। পবিত্র রমজানের মাস হওয়ায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। হাট-বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা মানুষের কষ্টও বেড়েছে। আবার লোডশেডিংয়ের কারণে বিভিন্ন ইফতারসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানও বিপাকে পড়েছে।
রামগঞ্জ উপজেলার নয়নপুর এলাকার বাসিন্দা নূর মোহাম্মাদ আই বার্তাকে বলেন, কিছু দিন ধরে খুবই কষ্টে আছেন। প্রতিদিন পাঁচ-সাতবার বিদ্যুৎ চলে যায়। একবার গেলে আধা ঘণ্টা-এক ঘণ্টা থাকে না। রোববার ভোররাতেও বিদ্যুৎ ছিল না। প্রতিদিন এ যন্ত্রণা আর সহ্য হচ্ছে না।
একই ধরনের ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন রামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা। তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়ছে। এর মধ্যে লোডশেডিং।
লোডশেডিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও।
তবে কবে নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারেননি বিদ্যুৎ অফিস এর কর্মকর্তারা।