রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
নেত্রকোণায় জমি বিক্রি কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৯ জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ ফয়জুল করীমকে বিসিসির মেয়র ঘোষণা করতে,বরিশাল আদালতে মামলা রাঙ্গাবালীতে দাখিল পরীক্ষায় অনিয়ম, ১৪ শিক্ষার্থী সাসপেন্ড, ৫ শিক্ষককে জরিমানা পহেলা মে থেকে সারা দেশে ডিম ও মুরগির খামার বন্ধ রাখার ঘোষণা নড়াইলে সৌদি প্রবাসী আকরাম শেখ হত্যাকাণ্ডের জের ২১ বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট মোহনগঞ্জে ইমামের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন রাঙ্গাবালীতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে মারা গেছেন হিরো আলমের বাবা, নিজবাড়িতে জানাজা ফেসবুকে পুরোনো ব্যানারে ‘বঙ্গবন্ধু চত্বর’ দেখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান পণ্ড, ইউএনও লাঞ্ছিত

লক্ষ্মীপুরে কিশোরকে নির্যাতন , প্লাস দিয়ে চামড়া টেনে সিগারেটের ছ্যাঁকা, চোখে দেয় মরিচের গুঁড়া,

এ জে এম ইসমাইল হোসেন জেলা প্রতিনিধি | লক্ষ্মীপুর
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২২

লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে প্লাস দিয়ে চামড়া টেনে জাকির হোসেন (১৪) নামের এক কিশোরের শরীরে সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে,দেলোয়ার হোসেন গং দের বিরুদ্ধে,এ সময় তাকে চেয়ারে বেঁধে বেদম পেটানো হয়। একপর্যায়ে হাতের আঙুলে সুই ঢুকিয়ে রক্তাক্ত করার পর শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টা করা হয়।

এখানেই শেষ নয়, চোখে মরিচের গুঁড়া লাগিয়ে সূর্যের দিকে তাকাতে বাধ্য করা হয়েছে। পরে অভিযুক্তরা চারদিন অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ বিবরণ তুলে ধরে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) বাদীর আইনজীবী মঞ্জুর আহমেদ তিতু জানান, শিশুকে নির্যাতনের পর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চারদিন ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। বিচারক তারেক আজিজ মামলাটি আমলে নিয়েছেন। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ঘটনাটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এরআগে বুধবার (২৬ অক্টোবর) লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি (সদর) আদালতে জাকিরের বাবা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন দেলোয়ার হোসেন, গোফরান, মনির হোসেন, মাকছুদ আলম, মো. মনির ও শাহ আলম। তারা সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের চররমনী গ্রামের বাসিন্দা। বাদী আলমগীর একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় শ্রমিক।

মামলা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের সঙ্গে আলমগীরের পারিবারিক বিরোধ রয়েছে। সেই জের ধরে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে অভিযুক্ত শাহ আলমের ঘরে ডেকে নেওয়া হয় আলমগীরের ছেলে জাকিরকে। এ সময় তাকে চেয়ারে বসিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলেন অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে তাকে (জাকির) বেদম পিটিয়ে প্লাস দিয়ে চামড়া টেনে শরীরের বিভিন্ন অংশে সিগারেটের আগুন লাগিয়ে ছ্যাঁকা দেয়া হয়। এরপর হাতের আঙুলে সুই ঢুকিয়ে নির্যাতন করা হয়।

সবশেষ চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে তাকে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়। পরে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় ছেলেকে উদ্ধার করেন আলমগীর। কিন্তু অভিযুক্তদের ভয়ে ঘর থেকে বের করে ওই কিশোরকে হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনার পাঁচদিন পর তাকে গোপনে সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মামলার বাদী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলেকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে চিকিৎসা করাতেও দেয়নি। এজন্য চারদিন অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ছেলের কষ্ট দেখে সহ্য হচ্ছিল না। পরে গোপনে তাকে সদর হাসপাতাল ভর্তি করিয়েছি।’

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন দৈনিক সংগ্রাম প্রতিদিন কে বলেন, আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। তদন্ত শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..