বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:০৯ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
নভেম্বরে গণভোট আয়োজন ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিতের দাবি ইসলামী আন্দোলনের নরসিংদী জেলা বিএনপির উদ্যোগে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচীর উদ্বোধন লোহাগড়ায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত মদনে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ভোলায় জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত আমরা প্রতিশোধের রাজনীতি করতে চাই না, আমরা প্রতিকার চাই, কালীগঞ্জে ফজলুল হক মিলন খুলনা-৫ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ডাক পেলেন রুবায়েদ ও লবী‌। মির্জাপুরে গোলাপী বেগম নামে এক গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার আবু বাকের মজুমদারকে লক্ষ্য করে ককটেল হামলা নেত্রকোণায় ‘সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা’ মিলছে না

বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

শরিফুজ্জামান, নড়াইল।।
  • আপলোডের সময় : রবিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২১

যার রঙতুলিতে দারিদ্রকিষ্ট ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো হয়েছে পেশিবহুল। শ্রমজীবী মানুষগুলো শক্তিশালী ও দৃঢ় মনোবলের অধিকারী ; তিনি বিশ্ববরেণ্য চিত্র শিল্পী এস এম সুলতান। তবে নড়াইল বাসীর কাছে লাল মিয়া হিসাবে সমাধিক পরিচিত তিনি। পুরো নাম শেখ মোঃ সুলতান। খ্যাতিমান এই চিত্র শিল্পীর ২৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন তিনি। জন্মভুমি নড়াইলের কুড়িগ্রামে তাকে দাফন করা হয়। এস এম সুলতান ১৯২৪ সালের ১০ আগষ্ট নড়াইলের মাছিমদিয়ায় বাবা মেছের আলী ও মা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। দরিদ্রতার মাঝে বেড়ে ওঠা সুলতান ১৯২৮ সালে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। ১৯৩৩ সালে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রাবস্থায় জমিদার শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি একে তাক লাগিয়ে দেন। পড়ালেখা ছেড়ে ১৯৩৮ সালে চলে যান ভারতের কলকাতায়।একাডেমিক যোগ্যতা না থাকা সত্বেও সোহরাওয়ার্দীর সুপারিশে ১৯৪১ সালে ভর্তি হন কোলকাতা আর্ট স্কুলে। ১৯৪৫ মতান্তরে ১৯৪৬ সালে ভারতের সিমলায় প্রথম একক চিত্রপ্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের লাহোরেও চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধন করেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর বোন ফাতিমা জিন্নাহ। ১৯৫০ সালে চিত্র শিল্পীদের আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে পাকিস্তান সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে আমেরিকা যান সুলতান। এর পর ইউরোপে বেশ কয়েকটি একক ও যৌথ প্রদর্শনীতে অংশ গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় বিখ্যাত চিত্র শিল্পী পাবলো পিকাসো, সালভেদর দালি, পলকিসহ খ্যতিমান চিত্র শিল্পীদের ছবির পাশে এস এম সুলতানের ছবি স্থান পায়। ১৯৫৩ সালে নড়াইলে ফিরে আসেন সুলতান। শিশু -কিশোরদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি চারুকলা শিক্ষার ব্যবস্থা করেন। ১৯৬৯ সালের ১০ জুলাই দ্যা ইনস্টিটিউট অব ফাইন আর্ট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৭ সালে স্থাপিত হয় শিশুসর্গ।
কর্মসূচিঃ-
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, এস এম সুলতানের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সংগ্রহশালা চত্বরে আজ (রবিবার) সকালে পবিত্র কোরআনখানি ও দোয়া মাহফিল এবং শিল্পীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..