সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
নেত্রকোণার হাওরে বোরো ধানের বাম্পার ফলন, লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে উল্লাপাড়ায় বিএনপি নেতার ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন। নেত্রকোণায় জমি বিক্রি কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৯ জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ৬০০ করার সুপারিশ ফয়জুল করীমকে বিসিসির মেয়র ঘোষণা করতে,বরিশাল আদালতে মামলা রাঙ্গাবালীতে দাখিল পরীক্ষায় অনিয়ম, ১৪ শিক্ষার্থী সাসপেন্ড, ৫ শিক্ষককে জরিমানা পহেলা মে থেকে সারা দেশে ডিম ও মুরগির খামার বন্ধ রাখার ঘোষণা নড়াইলে সৌদি প্রবাসী আকরাম শেখ হত্যাকাণ্ডের জের ২১ বাড়ি ভাংচুর, লুটপাট মোহনগঞ্জে ইমামের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন রাঙ্গাবালীতে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে

মালিক ফোনে জাহাজের কাউকে পাননি, অন্যরা গিয়ে দেখেন রক্তমাখা লাশ

বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

রোববার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম থেকে সার নিয়ে ছেড়ে আসে জাহাজটি, কথা বলছে পুলিশ।মালিক ফোনে জাহাজের কাউকে পাননি, অন্যরা গিয়ে দেখেন রক্তমাখা লাশ

চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে নোঙর অবস্থায় থাকা যে জাহাজ থেকে সাতটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, সেটির সঙ্গে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল মালিকের।

পরে একই মালিকের অন্য জাহাজের লোকজনদের খোঁজ নিতে বললে তারা গিয়ে মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের আল বাখেরাহ জাহাজের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন।
একই কোম্পানির মুগনি-৩ জাহাজের গ্রিজার মো. মাসুদ বলেন, “মালিক ওই জাহাজের কাউকে ফোনে না পেয়ে আমাদের জাহাজে ফোন দিয়ে খোঁজ নিতে বলেন।”
মাস্টার বাচ্চু মিয়া বলেন, “আমরা খালি জাহাজ নিয়ে মাওয়া থেকে ওই পথে ফিরছিলাম। মালিক শিপন মিয়া ফোন পেয়ে নোঙর করা আল বাখেরাহ জাহাজের কাছে গিয়ে রক্তাক্ত বেশ কয়েকটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯ এ ফোন দিই।”
নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের এসপি সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, সোমবার বিকালে হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় মেঘনা নদীতে আল বাখেরাহ জাহাজ থেকে পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
এসপি মোশফিকুর রহমান বলেন, ৯৯৯ এ কলের সূত্র ধরে চাঁদপুর থেকে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। তারা জাহাজ থেকে প্রথমে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেন।
আহত তিনজনকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার কিবরিয়া, ইঞ্জিন চালক সালাউদ্দিন বাড়ি , সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার সজিবুল, আজিজুল ও মাজেদুল ইসলাম। তবে একজনের নাম জানা যায়নি। আহত একজন হলেন জুয়েল। হতাহতদের সবার বাড়ি নড়াইল ও মাগুরা জেলায় বলে জানায় পুলিশ।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন বলেছেন, গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আরেকজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, “উদ্ধার করা তিনজনের মধ্যে সজিবুল ও মাজেদুলকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জুয়েল নামে একজনের শ্বাসনালী কাটা ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এসপি মুশফিকুর রহমান বলেন, “জাহাজে ডাকাতি করতে বাধা দেওয়ায় তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে জাহাজে থাকা সার বা কোনো মালামাল লুঠ হয়নি। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত চলছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের জেলার ডিসি মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি বলেন, “আহত একজন হাতের ইশারায় জানিয়েছেন, জাহাজে তারা আটজন ছিলেন। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
“ডাকাতি কিংবা অন্য কোনো কারণে হতে পারে। তদন্ত করার পরে জানা যাবে। নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে নিরাপত্তা বিষয়ে কথা বলেছি। কারণ এই রুটে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করে

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..