সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেলেন সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষ।
“অন্ধত্ব প্রতিরোধ করুন” এ শ্লোগান নিয়ে বিনামূল্যে দিনব্যাপী চক্ষু শিবির আয়োজন করেন সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। মোট ৪টি বুথে এই আই ক্যাম্পের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।পাঁচজন চিকিৎসকসহ ১৫ জনের একটি বিশেষজ্ঞ টিম এখানে সেবা দিতে আসেন।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম উপস্থিত থেকে সেবা দেওয়ার সকল কিছু পর্যবেক্ষণ করেন।
শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টা থেকে ড. ফরিদুলের বাড়ীর ওপর বড়দিয়া হাজী আরিফ (রহ:) মাদ্রাসার মাঠে ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাব এর উদ্যোগে এবং দৃষ্টি উন্নয়ন সংস্থা (ডাস) ঢাকা ও লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম এর সার্বিক সহযোগিতায় সম্পুর্ণ বিনামুল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ঔষধ ও সেবা দেয়ার পর শিশু থেকে শত বছরের এসব বৃদ্ধ এখন পর্যন্ত বিনামূল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ওষুধ ও সেবা দেয়ার পর এখন চোখে আলো দেখতে পাচ্ছেন।
এ চক্ষু শিবিরে মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জ, শরনখোলা, দাকোপসহ আশপাশ উপজেলার প্রায় ৪ হাজার রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এই চক্ষু শিবির থেকে ছানি, নেত্রনালী, মাংসবৃদ্ধি ও ট্যারিজম অপারেশনের জন্য প্রাথমিক ভাবে রোগীকে বাঁছাই করা হয়।
বাঁছাইকৃত রোগীদের মধ্য থেকে ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের আর্থিক সহযোগিতায় রোগীকে ঢাকা লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল ও খুলনা দিশা আই কেয়ার এর মাধ্যমে বিনামুল্যে অপারেশন, লেন্স সরবরাহ, ঔষধ ও সেবা দিয়ে সম্পুর্ণ সুস্থ্য করে তাদের বাড়ীতে পৌঁছে দেয়া হয়।
আজকের ক্যাম্পে যেসব রোগীদের অস্ত্রোপচার দরকার- তাদের তালিকা করে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা হয়েছে। ওইসব রোগীকে ‘ঢাকা দৃষ্টি আই’ হাসপাতালে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করানো হবে। তাদের আসা-যাওয়াসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক ব্যয়ভার বহন করবে ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ড. ফরিদুল ইসলাম।
ড. শেখ ফরিদ ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছর বাগেরহাট অঞ্চলের সুবিধা বঞ্ছিত মানুষের জন্য নিজস্ব অর্থায়নে চক্ষু শিবির আয়োজন করে আসছেন। এ পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশী চক্ষু রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা এবং ৫ হাজার ৭ শতাধিক রোগীর ছানি, নেত্রনালী, মাংসবৃদ্ধি ও ট্যারিজম অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ্য ও অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। সেবা প্রাপ্ত এসব শিশু ছাত্ররা তাদের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে, কর্মক্ষম রোগীরা তাদের সংসারে আয়-রোজগার করে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন। বৃদ্ধরাও আমৃত্যু চোখের আলোতে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পাছেন।
সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, আমার জীবনবোধের চিন্তাভাবনা থেকে এই সেবামূলক কার্যক্রম করছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, এই পৃথিবীতে যখন এসেছি, একদিন আমাকে চলে যেতে হবে। পরকালে আমার প্রত্যেকটা কাজের হিসেব দিতে হবে। তাই হতদরিদ্র সাধারণ মানুষের পাশে দাড়িয়ে একটু সেবামূলক কার্যক্রম করছি। চোখে কম দেখাসহ অনেকের চোখে সমস্যা রয়েছে কিন্তু তাঁরা বুঝতেও পারেন না চোখে সমস্যা আছে। এমন মানুষদের চোখকে সুস্থ রেখে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে এই উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।