সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান এবং সেবামূলক কাজের জন্য পদক পেলেন ৪০০ জন পুলিশ কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন আকারে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এতে কক্সবাজার জেলায় ১০ জন কর্মকর্তাও সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ অবদান ও সেবামুলক কাজের জন্য পদক পেলেন। কক্সবাজার জেলায় ৩ জন কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পেলেন। তারা হলেন- র্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, উখিয়া ১৪ এপিবিএনের সহ-অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) সেবা পেয়েছেন ৩ জন কর্মকর্তা। তারা হলেন- পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম, কক্সবাজার র্যাব ১৫ সি পি সি-২ এর (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) হাফিজুর রহমান এবং উখিয়া ১৪ এপিবিএন এর এম মাহবুবুল আলম।
কক্সবাজার জেলায় ৩ জন রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) পেলেন। তারা হলেন- ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উক্য সিং (অস্থায়ী সদর উখিয়া, কক্সবাজার) র্যাব ১৫ এর (সহকারী পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ জামিলুল হক এবং চকরিয়া থানার হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এসআই মোঃ মহসিন চৌধুরী।
এছাড়াও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা পেয়েছেন পেকুয়া থানার ওসি ওমর হায়দার।
প্রকাশিত তালিকা অনুসারে সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পেয়েছেন ৩৫ জন, রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) ৬০ জন। আর গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, সততা, কর্মনিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ (বিপিএম) সেবা পদক ৯৫ জন এবং ২১০ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) সেবা পদক দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবছর পুলিশের সেরা কর্মকর্তা ও সদস্যদের বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদকে (পিপিএম) ভূষিত করেন প্রধানমন্ত্রী। সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদান এবং সেবামূলক কাজের বিবেচনায় এসব পদক দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এই পদকের যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করতে পুলিশ সদর দপ্তরে একটি কমিটি করা হয়। বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা কমিটির কাছে তাঁদের বছরের সেরা কাজটির বিবরণ পাঠান। তার ভিত্তিতে যাচাই শেষে পুলিশ সদর দপ্তরের কমিটি পদক পাওয়ার মতো কর্মকর্তাদের একটি তালিকা তৈরি করে অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠায়। প্রধানমন্ত্রী তা চূড়ান্ত করে থাকেন।