বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:২৯ অপরাহ্ন , ই-পেপার
শিরোনামঃ
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ অনুমোদন  আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের দাবিতে দৌলতখানে বিক্ষোভ চাঁদা না পেয়ে ট্রাকের মালামাল লুট,পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক আটক পুলিশের ২৫২ এসআই অব্যাহতি.. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন গ্রেফতার শরণখোলায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৪ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য রেলি ও আলোচনা সভা বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা পেল সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল জামায়াত নেতার দাড়ি ছিড়ে নিয়েছে ছাত্রদল; প্রতিবাদে বিক্ষোভ  কামাল আহমেদ মজুমদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঈদগাঁওতে চলছে অবৈধ গরুর হাট বসানোর পায়তারা। ফলে সরকার হারাবে কোটি টাকার রাজস্ব।

আনাছুল হক, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • আপলোডের সময় : শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪

 

প্রতিবারের ন্যায় এবারও ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা জুড়ে ৮ টির অধিক  অবৈধ পশুর  হাট বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। আর এ কাজে মদদ দিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।

ইতোমধ্যেই ঈদগাঁওয়ের কয়েকটি স্থানে খুঁটি গেড়ে জায়গা দখল প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ঈদগাঁওতে পশুর ১টি বৈধ হাট রয়েছে, সেটি হলো ইজারাদার রমজানুল আলম পরিচালিত ঈদগাঁও বাজার । যেটি কক্সবাজারের দ্বিতীয় বৃহৎ পশুর হাট। একমাত্র এ পশুর হাট এখন জমে ওঠার অপেক্ষায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গরু,মহিষ নিয়ে আসা ব্যবসায়ীদের প্রত্যাশা দু’এক দিনের মধ্যে বাজার জমে ওঠবে।

জানা যায়, প্রতি বছর বাংলা সনে ঈদগাঁও বাজার, কালির ছড়া বাজার, পোকখালী মুসলিম বাজার, শাহ ফকির বাজার ইসলামপুর বাজার,নতুন অফিস বাজার সরকারি ভাবে নিলাম হয়। সর্বোচ্চ করদাতাদের বাজার বুঝিয়ে দেয়ার সময় ইজারাদারের সাথে ইউএনওর  করা চুক্তিনামায় ১৬ নম্বর কলামে স্পষ্ট করে বলা আছে “কোনো ভাবে পশুর হাট বসানো যাবে না” কিন্ত চুক্তিনামা ভঙ্গ করে কয়েকজন ইজারাদার উপজেলা প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে পশুর হাট বসানোর পায়তারা চালাচ্ছে।

জানা গেছে, প্রতি বছরই কোরবানির ঈদের সময় ঘনিয়ে আসলে ঈদগাঁওতে অবৈধ হাট না বসাতে নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু বাস্তবে তাদের এই নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে অবৈধ পশুর হাট বসান রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা। স্থানীয় সচেতন মহল বলছেন,  উপজেলা প্রশাসনের নির্লিপ্ততার সুযোগে যত্রতত্র বসে এসব অবৈধ পশুর হাট। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি,জামায়াতের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের একই কাতারে দেখা যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। এসব প্রভাবশালীরা অবৈধ হাট বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এসব প্রভাবশালীরা ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোটা অংকের অর্থ দিয়েছে। এসব টাকা তুলেছে অফিসের কয়েকজন সহকারী। উপজেলার ৫ ইউনিয়নের নতুন অফিস বাজার, ইসলামপুর বাজার, পোকখালী গোমাতলী বাজার, বাংলা বাজার, ঈদগাঁও কালির ছড়া বাজার, ইসলামাবাদ শাহ ফকির বাজার, ডান্ডি বাজার, পোকখালী মুসলিম বাজারসহ

বেশ কিছু জায়গায় অবৈধ পশুর হাট বসানোর তৎপরতা চলছে।

স্থানীয়রা জানান, এসব যত্রতত্র পশুর হাট বসলে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। এসব পশুর হাট বন্ধের জোর দাবি জানান জেলা প্রশাসকের কাছে।

খোঁজ খবর ও প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়, ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দেয়া ১৪৩১ বাংলা সনের হাট বাজার ইজারা চুক্তিনামায় ঈদগাঁও বাজারে পশুর হাট বসানোর নির্দেশনা রয়েছে। আগামী ১৭ জুনের  ঈদকে সামনে রেখে অবৈধ পশুর হাটের নেপথ্যে রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তাদের আস্কারায় পশুর হাট বসানোর তোড়জোড় চলছে  পুরো উপজেলা জুড়ে। আর সরকারি দলের এই নেতামর্কীদের অবৈধ পশুর হাট বসাতে সহায়তা করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

সাধারণ ক্রেতা- বিক্রেতারা বলেন, অবৈধ পশুর হাট গুলোতে জাল নোট শনাক্তের কোনো মিশিন থাকেনা, ফলে জাল টাকার ছড়াছড়ি হয় এসব বাজারে। তা ছাড়াও স্থানীয় চাঁদাবাজ গ্রুপের সদস্যরা উৎপেতে থাকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য। তাই তারা এসব অবৈধ পশুর হাটে গরু মহিষ না নিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টিত বাজার গুলোতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা প্রতিবেদককে জানান, “যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা রুখে দিতে পুলিশ তৎপর থাকবে সেই সাদা পোষাকেও পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।”

এ-সব বিষয়ে জানতে ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবল চাকমার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হয়, কিন্তু তিনি রিসিভ করেনি।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..