বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সিংড়ায় হজ্ব গমনে ইচ্ছুক হাজীদের সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ  কক্সবাজার জেলায় ১০ম বারের মতো শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারি অফিসার মহসিন ও শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী সোলায়মান লোহাগড়ায় নবগঙ্গা ডিগ্রী কলেজের দূর্নীতিবাজ সভাপতি রাশিদুল বাশার ডলারের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুন্সী নজরুল ইসলামের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  মিল্টন ব্লেড-ছুরি দিয়ে নিজেই অপারেশন করতেন, তথ্য জানালো ডিবি মধুখালিতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা বিএনপির দন্তত কমিটির বিচার দাবি লোহাগড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দ  লোহাগড়ায় বিএনপির উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি- স্যালাইন ও বিস্কুট বিতরণ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি শিক্ষার্থীবান্ধব হবে কবে? ঈদগাঁও উপজেলার নির্বাচনে সুবিধাজনক স্থানে আবু তালেব, লড়ে যাবেন সেলিম আকবর এবং শামশু।

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম. হারুন অর রশীদ এর স্বেচ্ছাচারিতা ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা ও সংবাদ সম্নেলনঃ

এম আশরাফুল আলম,  স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ।। 
  • আপলোডের সময় : বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম ও চরম সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারী এই দপ্তরটি নিজের এনজিওতে পরিণত করেছেন। সৃজনী এনজিওর প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন ও হিসাব রক্ষক অর্জুন কুমারকে জেলা পরিষদের অফিসে আলাদা রুমে বসিয়ে ভুয়া ও কল্পিত প্রকল্প বানিয়ে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করছেন। ২০/০৯/২০২৩ ইং বুধবার দুপুর ১১ ঘটিকায়  ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে জেলা পরিষদের ৭ জন নির্বাচিত সদস্য যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোরাদিম মোস্তাকিম মনির। এ সময় পরিষেদের হরিণাকুন্ডুর সদস্য আলাউদ্দীন, কালীগঞ্জের জসিম উদ্দীন সেলিম, মহেশপুরের লিটন মিয়া, কোটচাঁদপুরের রাজিবুল কবীর, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আনোয়ারা খাতুন ও অনিতা বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন গ্রহণ ছাড়াই একই প্রকল্প বার বার দেখিয়ে টাকা লোপাট করছেন হারুন অর রশিদ। শহরের হামদহ মনুমেন্টের পাশে একক সিদ্ধান্তে অবৈধভাবে রাস্তার পাশে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়ে মার্কেট নির্মাণ করে অবৈধ ভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। ধোপাঘাটা ব্রীজের পূর্বপাশে মার্কেট নির্মান ও মাটি ভরাটের কথা বলে জেলা পরিষদের ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এডিপি এবং রাজস্ব থেকে দুস্থ্য মহিলাদের সেলাই মেশিন দেয়ার কথা বলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ও গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের বাইসাইকেল কেনার নামে প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জেলা পরিষদের নামাজ ঘর, অফিস, ডাকবাংলো, ছাদ বাগান ও অফিস পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা দেখিয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
চেয়ারম্যান তার নিজ প্রতিষ্ঠান সৃজনি প্রিন্টার্স ও তাজ ফিলিং স্টেশন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মালামাল ক্রয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ  করে চলেছেন। লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদ অফিস চত্বরে ০৮/১০ লাখ টাকার কাঠ নাম মাত্র মূল্য দেখিয়ে রাতের আঁধারে পাচার করেছে। গত জানুয়ারী মাসে দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ৬ হাজার পিচ কম্বল কেনা দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন। এ ভাবে তিনি বিভিন্ন খাত থেকে লাখ লাখ টাকা লুটপাট করছেন বলে অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেরনে বলা হয় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে বিগত পরিষদের সময়কার টেন্ডারকৃত গাছের ঠিকাদারদের জিম্মি করে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন হারুন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও  মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে খাল ও পুকুর একক সিদ্ধান্তে ইজারা দিয়ে সরকারী আইন ভঙ্গ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি কোন সদস্য’র মতামত নেন না। বরং সদস্যদের সাদা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে নিজের ইচ্ছা মত রেজুলেশন তৈরী করে রাজ্স্ব তহবিল থেকে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ এবং একই প্রকল্প বার বার দেখিযে টাকা উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন। এদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের এই দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিচার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলার তিন জন সংসদ সদস্য যৌথ স্বাক্ষরে গত ৯ মে স্থানীয় সরকার বিভাগের মন্ত্রী তাজুল ইসলামের কাছে অবিযোগ করেন। মন্ত্রী বিষয়টি আমলে নিয়ে সচিবকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সংসদ সদস্যরা অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ নিজের খেয়াল খুশি মতো প্রকল্প গ্রহন করেন, উপদেষ্টা হিসেবে এমপিদের মতামত গ্রহন করেন না। আগের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দেয়া নিয়োগকৃত কর্মচারীদের চাকরীচ্যুত করছেন, যা অমানবিক। ঝিনাইদহ যশোর সড়কের কড়াই ও মেহগনি গাছ নামে বেনামে টেন্ডার করে নিজের নামে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার  কল করেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

দয়া করে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর..